আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত
১৩ আগস্ট ২০২১২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলোর যৌথ বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন রামস৷ সামরিক জোট ন্যাটোর নেতৃত্বে আফগানিস্তানে ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ফোর্স- আইএসএফ এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রামস বলেন, ‘‘তালেবান খুব, খুব দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে৷ এটাই আমাকে অবাক করছে৷’’
ন্যাটোর সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন
আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রামস৷ তিনি মনে করেন এত দ্রুততার সঙ্গে সৈন্য প্রত্যাহার ন্যাটোর দায়িত্বশীলতা নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷
এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল' মনে করেন রামস৷ এই প্রত্যাহারের ঘোষণার সঙ্গে ২০১০ সালে তার অবসরে যাওয়ার সময় সেনা উপস্থিতি সংকোচনের তুলনাও করেন রামস৷
তিনি বলেন, ‘‘২০১০ সালেও আমরা এর বদলে সেনা পুনরায় মোতায়েন করে আইএসএফ মিশন চালু রাখার কথা বলেছিলাম৷ আমি বলতে চাই, তখন আমরা যে ভুলের শুরু করেছিলাম এই মাসে সেটা শেষ হচ্ছে৷’’
আফগান সেনারা কী করছে!
তালেবানের আগ্রাসী আক্রমণের ফলে ক্রমশ পিছু হটছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী৷ একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর তালেবানের দখলে যাচ্ছে৷
আফগান সেনারা কেন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না, এ নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন এই অবসরপ্রাপ্ত জার্মান জেনারেল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা আফগান ন্যাশনাল আর্মিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি, অ্যামেরিকানরা তাদের অস্ত্র দিয়ে সুসজ্জিত করেছে৷ সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই আমার মনে প্রশ্ন জাগছে, আফগান সেনাবাহিনী এখন কী করছে?’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রায় দুই লাখ সেনাকে অ্যামেরিকা, জার্মানি ও অন্যান্য দেশ অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ সেই পুরাতন সৈনিকরা কোথায় গেল?’’
তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ শহর কান্দাহার ও হেরাত দখলে নিয়েছে৷ রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরের গজনিও এখন তালেবানের দখলে৷
কিরান বুর্কে/এডিকে