1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে গান গাইতে পারবেন না মেয়েরা

১১ মার্চ ২০২১

গান গাইলে শাস্তি। তালেবান আমলের আইন ফিরে এলো আফগানিস্তানে। গান গাইতে পারবেন না মেয়েরা।

https://p.dw.com/p/3qSsH
আফগানিস্তান
ছবি: Thomas Koehler/photothek/imago images

১২ বছর হয়ে গেলে প্রকাশ্যে গান গাওয়া যাবে না। বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী। ডিডাব্লিউয়ের হাতে মন্ত্রীর সেই বিবৃতির প্রতিলিপি এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিডিওবার্তায় একই নির্দেশ জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তালেবান শাসন ফিরে আসছে আফগানিস্তানে?

১২ বছরের উপরে কোনো স্কুলছাত্রী প্রকাশ্যে গান গাইতে পারবে না। একমাত্র ১০০ শতাংশ নারী সমাবেশে গান গাওয়ার অনুমতি আছে। পুরুষদের সামনে কোনো ভাবেই গান গাওয়া যাবে না। পুরুষ গানের শিক্ষকরাও স্কুলে বা অন্য কোথাও মেয়েদের গান শেখাতে পারবেন না। নির্দেশ জারি করেছে আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আফগান প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তালেবানের শান্তি বৈঠক চলছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে আফগান সরকার। তালেবানের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

তালেবান আমলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, গান গাওয়া, শিল্পচর্চায় বহু নিষেধাজ্ঞা ছিল। তালেবান পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশ নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরে আফগানিস্তানের নারীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে মেয়েদের গান গাওয়ার ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, এটাই দেশের সংস্কৃতি। তালেবান নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক রুচি কুমার তেমনই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

অনেকে আবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী রঙ্গিনা হামিদিকে আক্রমণ করছেন। তাদের বক্তব্য, হামিদি পরিচিত ছিলেন নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে। নারীদের কথা সকলের সামনে তুলে ধরার কথা ছিল তার। তিনি কীভাবে এই নির্দেশ জারি করলেন?

প্রশাসনের সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, অভিভাবকদের অনুরোধেই এই নিয়ম জারি করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই দেশের বড় অংশের অভিভাবকরা বলছিলেন, মেয়েদের গান গাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তারই জেরে এই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। দেশের সমস্ত প্রভিন্সের সমস্ত স্কুলে এই নিয়ম জারি করা হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালরা এ বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট দেবেন।

এসজি/জিএইচ/ফারাহ বাগাত