1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে জার্মান প্রেসিডেন্ট গাউক

১৮ ডিসেম্বর ২০১২

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক মঙ্গলবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে গাউককে সামরিক অভ্যর্থনা জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/174Qz
ছবি: picture-alliance/dpa

এক অঘোষিত সফরে সোমবার আফগানিস্তানে পৌঁছান জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷ বার্লিনস্থ প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে জানানো হয়, সোমবার আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত মাজার-ই-শরিফ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ সেখানকার একটি জার্মান ঘাঁটিতে ২,০০০ জার্মান সেনা অবস্থান করছেন৷ সাকুল্য সে দেশে অবস্থানরত জার্মান সেনা সদস্যের সংখ্যা ৪,৫০০৷

মূলত আফগানিস্তানে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবী এবং সৈনিকদের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করতেই প্রথমবারের মতো সে দেশ সফরে গেলেন গাউক৷ এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গী ডানিয়েলা শাড্ট৷ মাজার-ই-শরিফে এক বৈঠকে জার্মান সেনা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্দেশ্যে গাউক বলেন, ‘‘আপনারা ত্যাগ স্বীকার করছেন, সাহসিকতা প্রদর্শন করছেন৷ যারা শান্তি, গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধি প্রত্যাশ্যা করছে, তাদেরকে সমর্থন জানাতেও আপনারা আফগানিস্তানে কাজ করছেন৷’’

Gauck und Karzai in Kabul 18.12.2012
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক (বামে)ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গলবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন গাউক৷ ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পরও সে দেশে উন্নয়ন সহায়তা অব্যাহত রাখবে জার্মানি৷ দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে এই বিষয়টি৷ বৈঠক শেষে গাউক বলেন, ‘‘গণতন্ত্রায়ন অব্যাহত রাখতে হবে৷’’

আফগানিস্তানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে কর্মকাণ্ড পরিচালনার দিকেও গুরুত্বারোপ করেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ সে দেশে দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু না বললেও দ্রুত আর্থিক উন্নয়নে সুশাসন এবং তথ্য স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

অন্যদিকে, কারজাই তাঁর দেশের নিরাপত্তা স্থানীয় বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘এই দায়িত্ব হস্তান্তর ভালো৷ বিদেশি সেনা প্রত্যাহার ইতিবাচক৷ তারপরও আন্তর্জাতিক বাহিনী এবং পশ্চিমা দেশগুলো ভিন্নভাবে আফগানিস্তানে অবস্থান করবে৷’’

Präsident Joachim Gauck in Afghanistan ISAF Soldat Camp Marmal Bundeswehr
আফগানিস্তানে জার্মান সেনাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট গাউকছবি: Reuters

বিদেশি সেনাদের কাছ থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণকে কোনো ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিচ্ছেন না কারজাই৷ বরং তাঁর মতে, বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো আফগানদেরও নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে৷

প্রসঙ্গত, জার্মান প্রেসিডেন্ট এমন এক সময় আফগানিস্তান সফরে শুরু করেন, যখন সে দেশে চলছিল শোকের মাতম৷ নানগরহার প্রদেশের চাপরেহার জেলায় সোমবার এক ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় দশ আফগান কিশোরী৷ তাদের বয়স নয় থেকে এগারো বছরের মধ্যে৷ এছাড়া আরো দু’জন আহত হয়৷ হতাহতরা জ্বালানি কাঠ কুড়াতে গিয়ে এই নৃশংসতার শিকার হয়৷ এছাড়া একইদিনে পৃথক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণেও প্রাণ হারায় এক ব্যক্তি৷

বলাবাহুল্য, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের দায় স্বীকার না করলেও গাড়ি বোমার দায় স্বীকার করেছে তালেবান জঙ্গিরা৷ তাদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করে, ‘‘একজন আত্মঘাতী গাড়ি বোমারু একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে৷ এই প্রতিষ্ঠানটি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির সঙ্গে সম্পৃক্ত৷’’

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য