আফ্রিকার জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান' দরকার
২ মে ২০১৫ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান আফ্রিকা বিষয়ে সরকারি সিডিইউ/সিএসইউ দলের পার্লামেন্টারি গ্রুপের মুখপাত্র হুবার৷ ২০১৩ সাল থেকে তিনি জার্মান সংসদের সদস্য৷ ৫৮ বছর বয়সি হুবারের বাবা আফ্রিকার দেশ সেনেগালের একজন কূটনীতিক আর মা জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের বাসিন্দা৷
ডিডাব্লিউ: আফ্রিকা থেকে শরণার্থীদের ইউরোপে আসা ঠেকাতে কি বৈধ অভিবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন?
চার্লস এম. হুবার: প্রশ্ন এটা নয় যে, কীভাবে বৈধ অভিবাসনের ব্যবস্থা করা যায়, বরং অবৈধ মানব পাচারকারীদের কীভাবে দমন করা যায় সেটা ভাবতে হবে৷ কারও প্রতি সমব্যথী হয়ে শুধু বললে হবে না যে, ‘‘ঠিক আছে, আমাদের গরিবদের সহায়তা করতে হবে৷'' বরং ‘‘আমাদের প্রথমে তাদের সঞ্চয় বাঁচাতে হবে৷'' আমরা তিন থেকে পাঁচ হাজার ইউরো ফি-এর কথা বলছি৷ আফ্রিকার একজন মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে তিন হাজার ইউরো মানে এক থেকে তিন হাজার দিন কাজ করা৷ যাঁরা সাগর পাড়ি দেয়ার জন্য তিন থেকে পাঁচ হাজার ইউরো খরচ করতে পারেন, তাঁরা, যাঁরা পরের দিনের খাবারেরই ব্যবস্থা করতে পারেন না, তাঁদের মতো নন৷
আরেকটি বিষয় হলো, আমরা আফ্রিকা থেকে যত বেশি অভিবাসী গ্রহণ করবো, ততই তারা আমাদের এখানে লোক পাঠাতে থাকবে৷ এর মাধ্যমে পাচারকারীরা আরও বেশি অর্থ আয় করতে পারবে৷
পাচারকারীদের কীভাবে প্রতিহত করা সম্ভব?
এটা এভাবে হতে পারে৷ বর্তমানে আমরা শুধু আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বিপদে পড়া শরণার্থীদের সহায়তা করতে নজরদারির ব্যবস্থা করেছি৷ কিন্তু আফ্রিকা থেকে যাত্রা শুরুর পরই তো অনেক সময় শরণার্থীরা মারা যাচ্ছেন৷ তাই নজরদারিটা যদি আফ্রিকার দেশগুলোর সীমানার তিন মাইলের মধ্যে করা যেতে পারে তাহলে ভালো হয়৷
শরণার্থী সংকটের বর্তমান যে অবস্থা তার জন্য শুধু ইউরোপ দায়ী নয়৷ আফ্রিকার দেশগুলোরও তো কিছু করার আছে৷ তারা কী করতে পারে?
আফ্রিকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির জন্য একটি ‘মাস্টার প্ল্যান' দরকার৷ এ লক্ষ্যে আমাদেরও আফ্রিকার সরকারগুলোর সঙ্গে বসে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে৷
‘মাস্টার প্ল্যান' তৈরিতে জার্মানি কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
জার্মানি তথা ইউরোপের বেসরকারি খাত যেন আফ্রিকায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় সে চেষ্টা করতে হবে৷ ওদিকে আফ্রিকা সরকারগুলোকে তাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থিতিশীল করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেখানে যেতে পারে৷