আবার ট্রেন ধর্মঘটের কবলে জার্মানি
৬ নভেম্বর ২০১৪এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে সাত কোটি ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে৷
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় নিয়মিত বিরতিতেই ট্রেন ধর্মঘট চলছে জার্মানিতে৷ শতকরা ৫ ভাগ বেতন বৃদ্ধি এবং সপ্তাহে কাজ ২ ঘণ্টা কমানোর দাবি আদায়ের জন্য এর আগে পাঁচবার ধর্মঘট পালন করেছেন জার্মান রেল কোম্পানি ডয়চে বান-এর ট্রেন চালকরা৷ বুধবার বিকেল তিনটায় আবার ট্রেন চালকরা কর্মস্থল ছেড়ে যান৷ আবার ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করলে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠবে, আর্থিক ক্ষতিও হবে ব্যাপক- এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ট্রেন চালকদের প্রতি ধর্মঘট না করে নতুন করে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ট্রেন চালকদের ট্রেড ইউনিয়ন জিডিএল-এর নেতাদের উদ্দেশে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘‘আলোচনায় বসে এমন উপায় বের করুন যাতে দেশের ন্যূনতম ক্ষতি হয়৷'' কিন্তু তাঁর এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ জিডিএল নেতা ভেসেলস্কি সোমবার পর্যন্ত ১০৯ ঘণ্টার ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অটল থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘‘জার্মান রেলওয়ে যেভাবে চাইছে তা মেনে নিয়ে আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার ছেড়ে দেব না৷''
এদিকে ডয়চে বান-এর কর্মকর্তা উলরিশ ওয়েবার জানিয়েছেন, তারা জিডিএল-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করছেন৷ তবে মামলা করেও হয়তো খুব একটা লাভ হবেনা৷ উলরিশ জানান, এ পর্যন্ত অতীতের প্রত্যেকটি মামলায় আদালতের রায় কর্মীদের পক্ষেই গেছে৷
ট্রেন না চললেও বাস এবং ট্রাম অবশ্য চলছে৷ বাস স্টপ, ট্রাম স্টপে সকাল থেকেই প্রচুর ভীড়৷ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দূরের যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে৷ মালবাহী ট্রেনও বন্ধ৷ এ কারণে ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে প্রচুর৷ জিডিএল চারদিনেরও বেশি সময়ের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ৷ জার্মানির শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংগঠন এই ধর্মঘটকে ‘দায়িত্বহীন' বলে অভিহিত করেছে৷
এসিবি/জেডএইচ (ডিপিএ)