আবার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
১৭ জানুয়ারি ২০২২উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে থামানো যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করেও নয়। দুই সপ্তাহ আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর তা নিয়ে হইচই হওয়ায় কিম বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া আত্মরক্ষার জন্য নতুন অস্ত্র ও মিসাইল পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাবে। কোনো চাপের কাছে তারা নতি স্বীকার করবে না। বাস্তবে হলোও তাই। সোমবার তারা দেশের ইস্ট কোস্ট থেকে সমুদ্রে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে।
নতুন বছরের গোড়া থেকেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে। এর মধ্যে তারা চারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো। পর্যবেক্ষকদের মতে, এত ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অস্বাভাবিক। জাপানের কোস্ট গার্ডও জানিয়েছে, অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানিয়েছেন, সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোনো এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতে, ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।
জাপানের কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন,''দেখে মনে হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক মিসাইলই পরীক্ষা করেছে।’’
আগের পরীক্ষাগুলি
এর আগে চলতি মাসে তিনবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে দুইবার তারা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে। প্রথম পরীক্ষা করা হয় ৫ জানুয়ারি, তারপর ১১ জানুয়ারি। গত শুক্রবার একটি ট্রেন থেকে স্বল্প পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করা হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
গত সপ্তাহে অ্যামেরিকা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাইডেন প্রশাসন এই প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলো। তারা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংস্থাকে যেন কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
এই মাসের গোড়ায় অ্যামেরিকা-সহ ছয়টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া যেন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কাজ বন্ধ রাখে।
উত্তর কোরিয়ার বক্তব্য
উত্তর কোরিয়ার দাবি, আত্মরক্ষার জন্য এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পূর্ণ অধিকার তাদের আছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)