1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব বিশ্বে পরিবর্তনের পদে পদে বাধা

১৫ আগস্ট ২০১১

বিপ্লবের পরেও মিশরে শান্তি ফিরছে না৷ লিবিয়া ও সিরিয়া আজও অশান্ত৷ বিক্ষোভ এড়াতে সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে জর্ডান ও মরক্কো৷

https://p.dw.com/p/12GpO
জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহছবি: AP
জর্ডান ও মরক্কোয় সংস্কারের উদ্যোগ

জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ নিজের কিছু ক্ষমতা সংসদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন৷ তাছাড়া নাগরিক অধিকার আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি৷ এই লক্ষ্যে ১৯৫২ সালে রচিত সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনা হবে৷ ফলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা সম্ভব হবে৷ এক সাংবিধানিক আদালত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে৷ কিন্তু দেশের শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা কমানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না৷ তাছাড়া দেশের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নির্বাচনি আইন সম্পর্কেও কিছু বলেন নি আব্দুল্লাহ৷

Flash-Galerie Marokko König Mohammed VI
মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদও কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন৷ এর আওতায়, এক গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে৷ সোমবার সেদেশের সরকার আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের বদলে এবছরই নভেম্বর মাসে সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রাজনৈতিক দলগুলিকে এবিষয়ে ঐক্যমতে আসতে হবে৷ বড় আকারের বিক্ষোভ এড়াতে মার্কিন প্রশাসনের বেশ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই দুই দেশের বাদশাহরা নিজস্ব উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ তবে তাঁরা দুজনেই নিজেদের ক্ষমতা ছাড়তে প্রস্তুত নন৷ ফলে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

মিশরের মানুষ এখনো সন্তুষ্ট নয়

গোটা আরব বিশ্বের কোথাওই মানুষ পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছে না৷ শাসক শ্রেণী সম্পর্কে গভীর সন্দেহ ও সংশয় তাদের মনে কাজ করছে৷ যেমন মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুবারকের বিচারকে প্রহসন হিসেবে মনে করছেন অনেক মানুষ৷ দুই পুত্র সহ অশীতিপর মুবারককে সোমবার আদালতে আনার সময় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷ সেদেশে ফিল্ড মার্শাল তান্তাওয়ি'র নেতৃত্বে সামরিক প্রশাসন ন্যায়বিচার ও প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে গেলেও মানুষ তাদের পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না৷

NO FLASH Ägypten Mubarak Prozess Gericht Bett Kairo
কারাবন্দি মুবারকছবি: Egyptian State TV/dapd

লিবিয়া ও সিরিয়ার শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে

লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি ক্রমশ আরও এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ হারালেও এখনো হাল ছেড়ে দিতে নারাজ৷ অসীম ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি৷ তাঁর আশা, বিরোধীদের ঐক্যে আরও ফাটল ধরবে, পশ্চিমা দেশগুলির বিমান হামলাও বেশিদিন চালানো সম্ভব হবে না৷ অন্যদিকে সিরিয়ার সরকার বল প্রয়োগ করে গোটা দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ মূলত রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার ফলে বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা প্রায় না থাকায়, বাশার আল আসাদ যাবতীয় সমালোচনা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এই দুই দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে৷ তবে সেখানকার বিদ্রোহী ও বিক্ষোভকারীরা হাল ছাড়তে নারাজ৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য