আরো এক জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত নেই
২৫ মার্চ ২০২০সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো দুই জন৷ এ নিয়ে দেশে মোট সাতজন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেন৷ মোট আক্রান্ত ৩৯৷
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের-আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বুধবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
সর্বশেষ মারা যাওয়া রোগী পুরুষ, বয়স ৬৫ বছর৷ তিনি বুধবার সকালে মারা যান৷ বিদেশফেরত করোনা আক্রান্ত অন্য একজনের পরিবারের সদস্য ছিলেন তিনি৷ গত ১৮ মার্চ তাঁর রোগ শনাক্ত হয় বলে জানান মীরজাদী৷
বলেন, ‘‘প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে আইসোলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ২১ মার্চ তাঁকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল৷ তাঁর ডায়বেটিস ও উচ্চরক্তচাপ ছিল৷''
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও নতুন করে কারো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি বলেও জানান তিনি৷
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত শুধু আইইডিসিআরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়৷ শিগগিরই বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মীরজাদী৷
আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরগুলোতে দীর্ঘসময় যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বিভিন্ন নম্বরে বিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ না করে (০১৯৪৪৩৩৩২২২) ও (১০৬৫৫) নম্বর দুটিতে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ সেখান থেকে খালি থাকা নম্বরে কল ট্রান্সফার করা হবে৷
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ হাসপাতাল, ফায়ারসার্ভিসসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান এই ছুটির আওতায় পড়বে না৷ খোলা থাকবে ব্যাংক৷ গার্মেন্টসের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি৷
ছুটির এ সময়ে সরকার জনগণকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে৷
জনগণের যাতায়াত বন্ধ করতে এরই মধ্যে সারাদেশে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে৷ ২৬ তারিখ থেকে বাস চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সারাদেশে মঙ্গলবার থেকেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)