আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাড়ছে ইউরোপে, বাড়ছে বিতাড়নও
১১ জুন ২০১৯একই সময়ের মধ্য গত বছর যা ছিল, ১ লাখ ৭৯ হাজার৷ এবার, সিরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে৷ গেল বছরের তুলনায় যা বেড়েছে ৮ শতাংশ৷ ইউরোপীয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিসের তথ্য মতে, ২০ হাজার ৩৯২ জন্য সিরীয় নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছে৷ সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভেনেজুয়েলার নাম৷ দেশটির ১৪ হাজার ২৫৭ নাগরিক আশ্রয় চেয়ে ইউরোপে৷ তৃতীয় অবস্থানে থাকা আফগান নাগরিকদের আবেদনের হার গেল বছরের চেয়ে বেড়েছ ৩৬ শতাংশ, সংখ্যায় ১৪ হাজার ৪২৷ ৮ হাজার ৯৭টি আবেদন করেছে কলম্বিয়ার নাগরিকরা৷ পরিসংখ্যান বলছে, গতবারের তুলনায় যা ১৩৬ শতাংশ বেশি৷
ইএএসও-এর তথ্য অনুযায়ী ওয়েস্ট বলকানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আলবেনিয়া আর ককাস স্টেটের মধ্যে জর্জিয়া থেকেও আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে৷ আর, যেসব দেশের নাগরিকরা সেনজেনভুক্ত দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পান, তাদের আবেদনের হার বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ৷
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিতাড়নও বাড়ছে৷ আর এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে৷
আশ্রয়প্রার্থীদের বের করে দেয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেছেন জার্মানিতে অবস্থিত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ডমিনিক বার্টশ৷ তিনি জানান, আফগানিস্তানের আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া মানে, তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেয়া৷
বার্টশ জানিয়েছেন, ইউএনএইচসিআর ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে না৷ তার মতে, আশ্রয়প্রার্থীরা কোন ভূখণ্ড থেকে এসেছে সেটা বিবেচনায় নেয়া উচিত৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটা দেশ, যেখানে বেসামরিক নাগরিকেরা সারাক্ষণ নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন৷
গেল বুধবার আফগানিস্তান ও সুদানের নাগরিকদের বের করে দেয়ার বিষয়ে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আবেদন জানিয়েছে প্রো-অ্যাসাইলাম নামের একটি সংগঠন৷ মূলত, জার্মানিতে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে সংস্থাটি৷ এমনকি সিরীয় ও ইরাকি নাগরিকদেরও ফিরিয়ে না দিতে জার্মান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি৷
অন্যদিকে, আট বছরের গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাসী ঝুঁকি সত্ত্বেওসিরীয় নাগরিকদের বিতাড়নে জার্মানের সরকারের কাছে আবেদন জানাতে যাচ্ছে বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ, বাভারিয়া এবং স্যাক্সোনি রাজ্য৷
পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক ফেডারেল অফিস ১৪৫ আশ্রয়প্রার্থীর আপিল আবেদন খারিজ করেছে৷ এখন পর্যন্ত দুজনকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে দেশটি৷ যা মোট আবেদনের মাত্র ১.৬ শতাংশ৷ গত বছর মোট ৬৪৭টি আপিলের মধ্য মাত্র ৭৭টি অনুমোদন দিয়েছন জার্মান সরকার৷
টিএম/ কেএম (এএফপি, ডিপিএ, কেএনএ,ইপিডি)