টাইটানিক-২
৩০ এপ্রিল ২০১২জানা গেছে, আগামী ২০১৬ সালে জলে ভাসবে এই নতুন টাইটানিক৷
‘কোনদিনই জলে ডুববে না' – বলে ঘোষণাও দিয়েছেন টাইটানিক-২ এর মালিক ক্লাইভ পামার৷
অস্ট্রেলিয়ান ধনকুবের ক্লাইভ আরো বলেছেন, ‘‘সেই টাইটানিক তৈরি করতে যে সব নারী-পুরুষ কাজ করেছিলেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তৈরি হচ্ছে এই নতুন টাইটানিক৷''
সাজ-সজ্জা, বিলাসব্যসন সবকিছুতেই এটি হবে পুরনো টাইটানিকের অবিকল অনুকরণ৷ তবে, শুধু নিরাপত্তার দিকটি হবে আধুনিক৷ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এটিতে ব্যবহার করা হবে একুশ শতকের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা৷
চীনের জাহাজ নির্মাণকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান সিএসসি জিনলিং নতুন এ জাহাজ নির্মাণ করবে বলে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে টাইটানিক-২ এর স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ব্লু স্টার লাইন প্রোপ্রাইটারি লিমিটেড৷
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি টাইটানিকও ঘোষণা দিয়েছিল যে, এটি ডুববে না৷ কিন্তু প্রথম ভ্রমণেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জাহাজটি৷ বিশাল এক বরফের চাঁই এর সঙ্গে ধাক্কা লেগে অ্যাটলান্টিকের অতলে হারিয়ে যায় দুনিয়ার সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে বিলাসবহুল সে তরি৷ আর এ ঘটনায় প্রাণ হারায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ৷
টাইটানিক ডুবে যাবার ঠিক একশ বছর পর আবার তৈরি হচ্ছে অবিকল সেই জাহাজ৷ টাইটানিকের পূনরাবৃত্তিতে উৎসাহ-আনন্দের গুঞ্জরন শুরু হয়েছে৷ কিন্তু এই আনন্দে আবার নামবে না তো ডুবে যাবার করুণ বিষাদ?
প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা, (রয়টার্স, এপি)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন