1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ

৩১ আগস্ট ২০১৬

সিরিয়ার জটিল গৃহযুদ্ধের ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় কারো অজানা নয়৷ কিন্তু নিরীহ মানুষের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ এই সংকটকে নতুন এক মাত্রা দিচ্ছে৷ রাশিয়া অবশ্য এখনো আসাদকে আড়াল করে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/1JsoI
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Jalal/Syria Civil Defense Idlib

রাসায়নিক অস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন ওপিসিডাব্লিউ ও জাতিসংঘের এক যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকার ও তথাকথিত ইসলামিক স্টেট রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে৷ এ বিষয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই৷

এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ার সরকার কমপক্ষে দু'টি হামলায় নিষিদ্ধ ক্লোরিন ব্যবহার করেছে৷ অন্যদিকে ২০১৫ সালের একটি হামলায় আইএস মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহার করেছে৷ অন্য ছয়টি হামলায়ও রাসায়নিক অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে৷ তবে কে বা কারা তা প্রয়োগ করেছে, সে বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ডাক দিয়েছে৷

কিন্তু রাশিয়া শুধু জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে সিরিয়ার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা চাপাতে প্রস্তুত নয়৷ অনেক প্রশ্নের মীমাংসার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে মস্কো৷ ফলে নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারলো না৷

মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' সিরিয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে পাঠানোর ডাক দিয়েছে৷ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি বিবেচনা করতে রাজি হলেও রাশিয়া ও চীন ২০১৪ সালেই এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল৷

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করে ফেলার লক্ষ্যে এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল৷ রাশিয়ার উদ্যোগে এই প্রস্তাব মেনে নিয়ে সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধ চুক্তি স্বাক্ষর করে৷ ফলে মার্কিন সামরিক হামলা থেকে সে যাত্রায় বেঁচে যায় আসাদ সরকার৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য