1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসুন, করোনায় বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াই

৩০ এপ্রিল ২০২১

করোনায় ঘরবন্দি জীবনের মানসিক কষ্ট ঘোচাতে ইউরোপ, অ্যামেরিকার দেশগুলোতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু আমাদের দেশে যারা পেটের জ্বালায় ভুগছেন, তারা কার পরামর্শ নেবেন? 

https://p.dw.com/p/3soN0
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/A. Abidi

মহামারি করোনায় বিশ্ব আজ দিশেহারা৷ এক দেশে সংক্রমণের হার একটু কমে তো অন্য দেশে বাড়ে৷ মৃত্যুর দৈনিক হিসেব দেখলে শরীর সিউরে ওঠে৷ বর্তমানে ভারতে কী ভয়াবহ অবস্থা! বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ভালো নয়৷ চারিদিকে কেবল লকডাউন আর লকডাউন৷ আর এই লকডাউনে যাদের নিম্ন আয় বা যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের কী আর উন্নত দেশের মানুষের মতো মানসিক যন্ত্রণার কথা ভাববার ফুসরত আছে!

আমরা, যারা জার্মানি বা উন্নত বিশ্বের অন্য কোনো দেশে আছি, তারা চাইলেই অসহায় মানুষদের দিকে কিছুটা হলেও হাত বাড়িয়ে দিতে পারি৷ আমার জানা মতে, বিদেশ থেকে অনেকেই নিজেদের যাকাতের টাকা নিজের দেশের গরিব দুঃস্থদের জন্য পাঠিয়ে থাকেন৷ রোজা যেমন সংযমের মাস, তেমনি এই পবিত্র মাসে অনেকেই নানাভাবে দান করে থাকেন৷ আমি যতটুকু জানি, যাকাত বছরের যে কোনো সময়ই দেওয়া যায়৷ প্রবাসীদের পাঠানো যাকাত বর্তমান মহামারি পরিস্থিতিতে পেলে অসহায় মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে৷ ইউরোপ, অ্যামেরিকায় আমার পরিচিত অনেকেই এখন দেশে ইউরো, ডলার পাঠিয়ে নানাভাবে সাহায্য করছেন৷ আর যারা এখনো সেভাবে ভাবেননি, তারা এখন থেকে চিন্তা করতে পারেন৷ আজকাল দেশে টাকা পাঠানো তো তেমন কোনো সমস্যাই নয়৷ প্রবাসী সকলেরই দেশে কেউ না কেউ রয়েছেন, তাছাড়া বিকাশ তো আছেই৷ ঘরে বসে বিকাশ করলে মুহূর্তেই প্রাপকের কাছে টাকা পৌঁছে যায়!

আর্থিকভাবে কাউকে সহায়তা করা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বলার কোনো বিষয় নয়৷ তা একান্তই যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে আলোচনা বা মিলেমিশে করোনায় বিপর্যন্তদের পাশে দাঁড়ানো খুব দরকার৷

এক্ষেত্রে বলা যায়, জার্মানিতে রেস্তোরাঁয় যারা চাকরি করেন, তাদের আয় খুব বেশি না হলেও প্রতিদিন অতিথিদের কাছ থেকে পাওয়া টিপসের অংক একেবারে কম নয়৷ এখন যদিও তাদের অনেকেই কিছুটা সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন৷

Nurunnahar Sattar, DW-Mitarbeiterin Bengali Programm
নুরুননাহার সাত্তার, ডয়চে ভেলেছবি: DW/A. Islam

করোনাকালে অনেক রেস্তোরা বা কোম্পানি বাড়তি চার্জ ছাড়াই তৈরি খাবার বা অন্যান্য সদাই বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে৷ কিছুদিন আগে আমাদের পাড়ার ফ্রি পত্রিকার একটি লেখা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷ সেখানে ওয়েটারদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে অর্ডারকারীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে ‘হোম ডেলিভারিম্যান’কে যেন আগের চেয়ে একটু বেশি টিপস দেওয়া হয়৷ লেখাটা না পড়লে হয়ত আমিও বিষয়টা গভীরভাবে খেয়াল করতাম না৷ অনেক সময় এরকম ছোটখাটো কিছু বিষয়, আমাদেরকে ‘আমি থেকে আমরা' ভাবতে সহায়তা করে থাকে৷ জার্মানিতে খাওয়ার কষ্ট কারো নেই, প্রয়োজনে সরকার দেয়৷ তারপরও অল্প আয়ের মানুষদের নিয়ে অন্যরা ভাবছে৷ মহামারিতে প্রবাসীরা পারি না সহায়তার হাত আগের চেয়ে একটু বেশি প্রসারিত করেতে? ‘‘মানুষ মানুষের জন্য’’- শুধু গানে গানে নয়, আসলেই যেন উপলব্ধি করি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান