আস্থার সংকটে পেনশন স্কিমে প্রত্যাশিত সাড়া নেই
১৮ মার্চ ২০২৪গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে সরকার৷ বেসরকারি চাকরিজীবী, স্বকর্ম বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নিয়োজিত কর্মী, স্বল্প আয়ের মানুষ এবং প্রবাসীদের অংশ নেয়ার সুযোগ রেখে চারটি আলাদা স্কিমের ঘোষণা দেয়া হয়৷ স্কিমগুলোতে মোট ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ৷ তবে ছয় মাস পেরিয়ে ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন, যা লক্ষ্যমাত্রার এক শতাংশেরও বেশ কম৷
সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর আস্থাহীনতা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পেনশন স্কিমের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা৷ পেনশন স্কিমের ব্যবস্থাপনা এবং বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে সাধারণ মানুষের৷
অবশ্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন এই ধারণা যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় সেজন্য তারা কাজ করছে৷ তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য একটি বিধিমালার খসড়া তারা তৈরি করেছে যা দ্রুত পাস ও কার্যকর হবে৷ বিনিয়োগ কমিটির মাধ্যমে এই তহবিলের বিনিয়োগ হবে, তাই সরকার সরাসরি এই অর্থ ব্যবহার করতে পারবে না৷
পেনশন স্কিম যে কারণে
একটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানে গত ১০ বছর ধরে ব্যবস্থাপনা পদে চাকরি করেন আল ফরিদ, যেখানে কোনো প্রোভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশন সুবিধা নেই৷ অর্থাৎ, চাকরি ছাড়লে অবসরকালীন কোন ভাতা তিনি পাবেন না৷ এর আগে আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন, সেখানেও সেই সুযোগ ছিল না৷
দেশের বেসরকারি খাতে কর্মরতদের একটি বড় অংশেরই পরিস্থিতি ফরিদের মতো৷ শ্রম জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে কাজে নিয়োজিতদের ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত, যাদের অবসরকালীন ভাতা দূরে থাক কর্মক্ষেত্রের অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলোর নিশ্চয়তাও নেই৷
বিপরীতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের মাত্র সাত দশমিক ছয় শতাংশ সরকারের অবসরকালীন ভাতা পান৷ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির হিসাবে, এর বাইরে ১০ ভাগ বেসরকারি চাকরিজীবীর প্রভিডেন্ট বা গ্রাচ্যুইটি ফান্ডের সুবিধা আছে৷ আর ৪০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতাভোগী, যার মাসিক হার ৬০০ টাকা মাত্র৷
এমন পরিস্থিতিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রতিশ্রুতি দেয়৷ টানা ক্ষমতায় থাকলেও ১৫ বছর পর এসে সেটি তারা বাস্তবায়ন করে৷ গত বছরের ১৭ আগস্ট এই কর্মসূচির আওতায় মোট চারটি স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়৷ সেগুলো হলো: বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি'; রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিতদের জন্য ‘সুরক্ষা', নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ‘সমতা' আর প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাস'৷ মাসে নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কিমগুলোতে অংশ নিতে পারেন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা৷৬০ বছর বয়সের পর থেকে তারা চাঁদার উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে আমৃত্যু মাসিক পেনশন পাবেন৷
জমা পড়েছে ৩৫ কোটি টাকা
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষ সর্বজনীন পেনশন স্কিম অংশ নিয়েছেন৷ মোট জমা পড়েছে ৩৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ৷ প্রায় সাড়ে ছয় মাসের এই হিসাব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গড়ে প্রতি মাসে চার হাজারের কিছু বেশি মানুষ হিসাব খুলেছেন৷ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, প্রথম মাসেই ১২ হাজার ৮৮৯ জন গ্রাহক অংশ নিয়েছেন, পরবর্তী মাসগুলোতে যেই সংখ্যা বরং কমেছে৷
কবিরুল ইজদানী খান জানান, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে বেসরকারি কর্মচারীদের ‘প্রগতি' স্কিমে৷ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই স্কিমে প্রায় নয় হাজার জন টাকা জমা দিয়েছেন৷ আর স্বকর্ম ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিযুক্তদের ‘সুরক্ষা' স্কিমে প্রায় সাড়ে আট হাজার জন টাকা জমা দিয়েছেন৷ অর্থাৎ, বাকি দুই স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ১০ হাজারেরও কম৷
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে দরিদ্র্যদের জন্য চালু করা ‘সুরক্ষা' স্কিমটিতে সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা শুরু থেকেই ছিল না৷ যদিও সেখানে চাঁদাদাতার ৫০০ টাকার সাথে সমপরিমাণ টাকা সরকার দেবে বলে জানিয়েছে৷ কিন্তু প্রতি মাসে সেই অর্থটুকু দেয়াও দরিদ্রদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই মুখ্য অর্থনীতিবিদ৷ তিনি বলেন, ‘‘সবকিছু ভরসাযোগ্য থাকলেও তাদের পক্ষে এখানে অংশগ্রহণ করা কঠিন কারণ সেই উদ্বৃত্ত অর্থটুকুও তাদের কাছে নেই৷ একই পরিস্থিতি বলা চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরতদেরও৷''
অন্যদিকে সতর্ক বেসরকারি চাকরিজীবীরা, কাঙ্খিত সাড়া মিলছে না প্রবাসীদের কাছ থেকেও৷ এমন পরিস্থিতিতে ১০ কোটি মানুষকে পেনশন স্কিমের আওতায় আনার যে লক্ষ্য কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করেছে তা কবে নাগাদ পূরণ হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷ জানতে চাইলে কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাধ্যতামূলক স্কিম নয়৷ এটি সেচ্ছাধীন৷ আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা৷ তবে এ লক্ষ্য অর্জন সময় সাপেক্ষ৷ একটি নতুন ধারণা যাতে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় সে বিষয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে৷''
টাকার গন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন ও আস্থার সংকট
পেনশন স্কিম নিয়ে শুরুতে মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না৷ ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিম চালুর খবর নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যে অনেকেই উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ কারো কারো মন্তব্যে উদ্যোগের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ ও আস্থাহীনতার বিষয়টিও উঠে এসেছে৷
বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন পেনশন স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে তিনি এখনও আগ্রহ বোধ করছেন না৷ সঞ্চয়ের জন্য বরং তিনি ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটই আকর্ষণীয় মনে করেন, যেখানে নয় শতাংশ হারে মুনাফা পাচ্ছেন৷ ফরিদ বলেন, ‘‘ পেনশন স্কিমে এখন টাকা দিলে ৩০ বছর পর আমি তার রিটার্ন পাব৷ আমার জমা দেয়া টাকা থেকে সব মিলিয়ে কত রিটার্ন পাব সেই হিসাব আমার কাছে স্পষ্ট না৷ সেসময় গিয়ে পেনশন স্কিমের কী পরিস্থিতি হয় তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? আর ব্যাংকে ফিক্সড ডিপজিট রাখলে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর আমি টাকাটা তুলতে পারছি৷ আমার প্রয়োজনের সময়ও সেই টাকা ব্যবহার করতে পারছি৷ কিন্তু পেনশন স্কিমে তো সেই সুযোগ নেই৷''
‘প্রগতি' স্কিমটিতে অংশ নিয়ে তার মতো বেসরকারি চাকরিজীবীরা মাসে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে তিন হাজার ৬০ টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক অবসর ভাতা পেতে পারেন৷ অন্যদিকে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা নির্ধারিত হারে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে ‘প্রবাস' স্কিমে অংশ নিতে পারেন৷ সৌদি প্রবাসী আবুল বাসার জানান, ভবিষ্যত নিশ্চয়তার জন্য এই উদ্যোগকে তিনি দরকারি মনে করলেও আস্থা পাচ্ছেন না৷ বাসার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার বদল হলে এক সরকারের উদ্যোগ অন্য সরকার বাতিল করে দেয় এমন অনেক নজির আমাদের দেশে আছে৷ এখন টাকা রেখে ২০ বছর পর সেই টাকা আমি ফেরত পাব কিনা তার নিশ্চয়তা কী?''
নাগরিকদের এসব প্রশ্নের যথেষ্ট উত্তর নেই বলে মনে করেন ড. জাহিদ হোসেন৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা জানতে চায় এই ফান্ডটি কারা ম্যানেজে করবে? এখন পর্যন্ত আমরা যতদূর জানি একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে যার অবস্থান এবং বুরোক্রেসি দিয়েই একে চালানো হবে৷ তখন পরের প্রশ্নটি আসে যদি আমার টাকা না দিতে পারে, এই টাকাটা যে আমি দিচ্ছি এটা কোথায় থাকবে? সেটার জবাব দেয়াতো কঠিন৷ প্রশ্ন আসে এই প্রতিষ্ঠান যদি মিসম্যানেজড হয় এবং আমার টাকাটা সরকারি বাজেটে চলে যায় এবং সেখানে সরকার খরচ করে ফেলে এবং আমি যখন টাকাটা পাওয়ার বয়সে যাব, তখন যদি সরকারের টাকা না থাকে, তাহলে কী হবে? আমি তখন কোথায় যাব? ঐ প্রশ্নের জবাব তো কঠিন?''
এই অর্থনীতিবিদের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর মানুষের আস্থার অভাব আছে৷ স্বাধীন না হওয়ায় এই টাকাগুলো তারা কতটা দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে৷
তবে পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রধান বলছেন, কর্মসূচিটির গ্যারান্টর যেহেতু রাষ্ট্র তাই জনগণের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় বা ঝুঁকির কোনই কারণ নেই৷ জনগণকে তারা সেটি বোঝানোর চেষ্টা করছেন৷
সরকার পেনশন স্কিমের অর্থ ব্যবহার করতে পারবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের ১৬ ধারায় সর্বজনীন পেনশন তহবিলের উল্লেখ রয়েছে৷ আইনের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, এই তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং এর সুষ্ঠু ও নিরাপদ বিনিয়োগ এর জন্য একটি বিধিমালা থাকবে৷ আমরা এরই মধ্যে এ বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছি৷ আশা করছি শিগগিরিই এই বিধিমালা পাস ও কার্যকর হবে৷ বিনিয়োগ কমিটির মাধ্যমে এই তহবিলের বিনিয়োগ হবে, বিধায় এই অর্থ সরকার সরাসরি ব্যবহার করতে পারবে না৷ ''
তিনি জানান এখন পর্যন্ত জমাকৃত টাকা তারা ‘সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক দীর্ঘমেয়াদী সরকারি ট্রেজারি বন্ডে' বিনিয়োগ করেছেন৷ মোট ৩১ কোটি টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে৷
আওতা বাড়াতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে
পেনশন স্কিমের আওতা বাড়াতে সম্প্রতি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ অন্যদিকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নতুন কর্মচারী যারা এ বছরের ১ জুলাইয়ের পর যোগ দেবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার আইনের বলে কর্মচারীদের এই স্কিমে আওতায় নিয়ে আসতে পারবে৷ কিন্তু তারা আর কতজন?''
তার মতে সাধারণ মানুষকে এই স্কিমের আওতায় আনা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে৷ প্রথমত, যথেষ্ট প্রচার কার্যক্রম চালানো, যা শুরুতে গুরুত্ব দিয়ে করা হয়নি৷ দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানো ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা এমন একটা সময়ে চালু করা হয়েছে যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে শুধু স্বল্প আয়ের নয় মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতারও অবনমন হয়েছে৷ এখানে তাদের এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে সংকোচ রয়ে গেছে৷ উদ্যোগটা ভালো কিন্তু যেই সময়ে এটা চালু করা হয়েছে সেটা খুবু উপযুক্ত না৷ অর্থনীতি স্থিতিশীল হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন মানুষ হয়ত উৎসাহী হবে৷'' তৃতীয়ত, সরকারি কর্মচারীদের দিয়েই এটি পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে এর কাঠামোগত পরিবর্তনের উপর জোর দেন এই অর্থনীতিবিদ৷
নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনটি চ্যালেঞ্জ দেখছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও৷ কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘‘প্রথমত, আমাদের দেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের অভ্যাস নেই৷ আমাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুযোগ সুবিধাগুলো মানুষকে বোঝাতে হবে এবং তাদের এই বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ ও অভ্যস্ত করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত সেবাগুলোকে সম্পূর্ণ অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে নাগরিকের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে৷ এজন্য আমাদেরকে একটি সুশৃঙ্খল, সহজ ও সময়োপযোগী একটি অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুত করতে হবে৷ তৃতীয়ত, সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ যাতে যথাসম্ভব নিরাপদ ও সর্বোচ্চ মুনাফার জন্য বিনিয়োগ করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷''
পেনশন স্কিমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং আরো বেশি মানুষকে এর আওতায় আনতে প্রচার কার্যক্রম চালানোর কথা জানান তিনি৷ পাশাপাশি প্রবাস স্কিমের পেমেন্ট পদ্ধতি সহজ করায় সেখানে আরও বেশি সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি৷