আয়োজক হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জাপান
২৭ অক্টোবর ২০১৩ইতিহাস বলছে, অলিম্পিকের আয়োজক দেশ পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় ভালো করে৷ অর্থাৎ কোনো দেশ যখন আয়োজক হয়, তখন সেদেশের অ্যাথলেটরা ভালো পারফর্ম করেন৷ যেমন গত অলিম্পিকের আয়োজক ব্রিটেন ২৯টি সোনার পদক জয় করে৷ তার আগের অলিম্পিকে, যেটা বেইজিংয়ে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে ব্রিটেনের স্বর্ণ সংখ্যা ছিল ১৯৷
জাপানের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য৷ তাই তো এখন পর্যন্ত তারা ১৯৬৪ সালেই সর্বোচ্চ ১৬টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল৷ এবার আবার যখন অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ এসেছে তখন জাপান সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায়৷ দেশটির ক্রীড়া বিষয়ের দেখভাল করা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ২৫-৩০টি সোনা সহ ৭০-৮০টি পদকের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে৷
তবে লক্ষ্য পূরণ কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা৷ কারণটা, অর্থনৈতিক৷ পরপর কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে দেশটির অর্থনীতি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ তার উপর বয়স্ক লোকের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে দেশটিতে৷ পাশাপাশি তরুণ চাকরিজীবীর সংখ্যা কমে যাওয়াও আয়কর থেকে সরকারের আয়ও কমে যাচ্ছে৷
কিন্তু...
এরপরও অবশ্য একটা কিন্তু আছে৷ দেশটা জাপান বলেই সীমিত অর্থকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে চায় দেশটি৷ সেজন্য ‘এজেন্সি অফ স্পোর্টস' নামের একটি সংস্থা গঠন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ তাদের কাজ হবে অর্থ বরাদ্দের জন্য সঠিক খাত খুঁজে বের করা৷ যেসব খেলায় পদক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন সাঁতার, মহিলা ফুটবল, পুরুষদের জিমন্যাস্টিক্স, কুস্তি আর জুডোতে বেশি অর্থ ব্যয় করা হবে৷ এছাড়া, নামকরা অ্যাথলেট বেছে নিয়ে তাদের প্রতি বেশি নজর দেয়া হবে৷ আর ২০২০ আসতে যেহেতু এখনো কয়েক বছর বাকি, তাই সেসময় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারবে, এমন অল্প বয়সি অ্যাথলেটদের এখন থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে৷ গত কয়েকটি অলিম্পিকে যেসব ইভেন্টে একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে সেগুলোতেও জোর দেয়া হবে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)