১২ বছরেই তাক লাগিয়েছে ইতো
৩০ জুলাই ২০১৩প্রথম যেদিন শ খানেক মানুষ ঘিরে ধরে ওর অটোগ্রাফ নিলো ইতোর বয়স তখন মাত্র ১০৷ অটোগ্রাফ কী তা-ই ভালো করে বোঝে কিনা সন্দেহ৷ তবু দিতে হলো অটোগ্রাফ৷ তখন এমন কাজ করে ফেলেছে যা বড় বড় তারকাও কোনোদিন পারেননি৷ কেউ চাইলে তখন অটোগ্রাফ না দিয়ে পারা যায়? দু বছর আগের সেই দিনে ছিল চাইনিজ তাইপে জুনিয়র অ্যান্ড ক্যাডেট ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল৷ বয়স মাত্র ১০ হলে কি হবে, সেই বয়সেই অনেক বড় বড় মেয়েদের হারিয়ে জাপানের মিমা ইতো উঠে গিয়েছিল অনূর্ধ্ব ১৫ আর অনূর্ধ্ব ১৮-র ফাইনালে৷ ফাইনালেও জিতে হয়ে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন৷ এইটুকুন এক মেয়ের চোখ ধাঁধানো খেলা দেখে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সবাই৷
গত সপ্তাহান্তেও ঘটেছে একই ঘটনা৷ এবার আবার জাপান থেকে গিয়ে চাইনিজ তাইপে জুনিয়র অ্যান্ড ক্যাডেট ওপেনে তার চেয়ে অনেক বড়দের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৫ ও অনূর্ধ্ব ১৮র চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিমা ইতো৷ অটোগ্রাফ নেয়া, সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের ছুটোছুটি – সবই হয়েছে দু বছর আগের মতো৷ একটা প্রশ্ন শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ইতোর৷ আগামী বছর যুব অলিম্পিক হবে চীনের নানজিং শহরে৷ ইতোর ইচ্ছে ছিল সেখানে অংশ নেয়ার৷ কিন্তু বয়স খুব কম বলে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না তাকে৷ এ নিয়ে আক্ষেপ করার পর অবশ্য বড় একটা লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়েছে মিমা ইতো৷ জাপানের ১২ বছর বয়সি বিস্ময় বালিকা জানিয়েছে তার চোখ এখন ২০১৬ সালে ব্রাজিলে হতে যাওয়া অলিম্পিক গেমসের দিকে৷ তখন তার বয়স হবে ১৫৷ টেবিল টেনিস বিশ্ব কি তখন ১৫ বছর বয়সি এক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নকে দেখবে?
এসিবি/এসবি (এএফপি)