ইইউ-র সম্প্রসারণের পক্ষে সওয়াল
২৯ আগস্ট ২০২৩ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো দেশকে জায়গা দিতে হলে ইইউ-র সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এখন যে কাঠামো আছে তার সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংস্কার শেষ করা উচিত। তাহলেই আরো নতুন দেশকে ইইউ-তে জায়গা দেওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
স্লোভেনিয়ার লেক সাইডে ইউরোপীয় কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে বলকানের নেতারা যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এক বৈঠকেই একথা বলেছেন মিশেল। তার কথায়, ''দুই পক্ষকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউ-কে আরো প্রশস্থ করতে হবে। এবং তার জন্য নিজেদের সংস্কার প্রয়োজন। সময়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে একাজ করা দরকার। এতে বোঝা যাবে, আমরা বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস।''
মিশেলের বক্তব্য, ইইউ-তে আরো অনেক রাষ্ট্র যাতে যোগ দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু আপনা থেকে তা হবে না। তার জন্য ইইউ-র সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ তারই লক্ষ্যমাত্রা। তার মতে বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পরে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। কে কোন দিকে দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও ইইউ-র দায়িত্ব। সে কারণেই এক সম্প্রসারণ জরুরি।
আগামী অক্টোবরে স্পেনের গ্রানাডায় ইইউ-র নেতারা আরেকটি বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন মিশেল। সেখানে ইইউ-র পক্ষে এখন আর কতগুলি দেশকে নিজেদের ব্লকে ঢোকানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, বলকান দেশগুলি ইইউ-তে ঢোকার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কিন্তু ইইউ-তে যোগ দিতে গেলে প্রতিটি দেশের সবুজ সংকেত প্রয়োজন হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। কোন দেশ কার সঙ্গে আছে। রাশিয়ার বলকান প্রতিবেশী সার্বিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-র ঘোষণা করা নিষেধাজ্ঞা মানেনি। তবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তারা জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই সমস্ত আলোচনাই সামনে এসেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)