ইইউ’র তালিকায় হামাস সন্ত্রাসী
২৬ জুলাই ২০১৭হামাসকে কেন সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে না, এই মর্মে এর আগে ২০১৪ সালে ইইউ-র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত একটি রুল জারি করে৷ বুধবার ট্রাইব্যুনাল সেই রুলিংটিকেই খারিজ করেছে৷
২০০১ সালে ইইউ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে এবং ইউরোপে দলটির সম্পদ ও যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ ২০০৭ সালে হামাস প্যালেস্টাইনের গাজা দখল করে এবং এখন অবধি গাজা তাদের নিয়ন্ত্রণে৷
হামাসকে সন্ত্রাসীর তালিকায় রাখার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই, এই যুক্তিতে তিন বছর আগে ইইউ-র জেনারেল কোর্ট হামাসকে কালো তালিকা থেকে সরিয়ে নিতে রুল জারি করেন৷
বিচারকদের মতে, হামাসের যেসব কার্যকলাপের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আগের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছিল তার সূত্র গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট৷ কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি৷
আদালতের এই রুলটি স্বভাবতই তখন রুষ্ট হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল৷ ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখন লুক্সেমবুর্গে অবস্থিত এই ব্লকের সর্বোচ্চ আদালত ইউরোপীয়ন কোর্ট অফ জাস্টিসে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপীল করে৷
সিদ্ধান্তটি খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা ‘নিম্ন আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি' বলে মন্তব্য করেন৷ তাঁদের মতে, কোন সংগঠনকে কালোতালিকাভুক্ত করা হবে, সে সিদ্ধান্ত একটি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে৷ কিন্তু তা খারিজের জন্য তেমন কোনো নিয়ম নেই৷
সর্বোচ্চ আদালত রায়টি নিম্ন আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ একই দিনে, শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম (এলটিটিই)-কে ইইউ-র সন্ত্রাসী সংগঠনের কালো তালিকা থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে আদালত৷
জেডএ/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)