ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়াকে আক্রমণ জার্মানির
১৫ ডিসেম্বর ২০২১অ্যামেরিকা আগেই সতর্ক করেছিল। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন জার্মানির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক। মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারজেই ল্যাভরভকে ফোন করেন তিনি। ইউক্রেননিয়ে রাশিয়ার কড়া অবস্থান নিয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। বেয়ারবক রাশিয়াকে সীমান্ত থেকে সেনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে টুইটও করেছে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
টুইটে বলা হয়েছে, খুব সৎ ভাবে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে রাশিয়া যাতে হস্তক্ষেপ না করে, সে বিষয়ে তাদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন, ফোনে কথা বলেছেন। রাশিয়াকে সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর কথা বলেছেন তিনিও। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি এজেন্সির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে অ্যামেরিকা।
রাশিয়ার অবশ্য দাবি, পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তাও অস্বীকার করছে রাশিয়া। উল্টে তাদের দাবি, ইউক্রেন আক্রমণমুখী হয়ে ওঠার কারণেই সীমান্তে তাদের সেনার সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে চাইছে। রাশিয়া তার বিরোধিতা করছে। এদিন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়ার আর্জিতে জার্মানি যেন ভেটো দেয়। কোনোভাবেই ইউক্রেন যাতে ন্যাটোর সদস্যপদ না পায়, তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছে রাশিয়া। জার্মানি অবশ্য রাশিয়ার দাবি মানবে, এমন ইঙ্গিত দেয়নি। ব্তুত, অ্যামেরিকাও ইউক্রেনের আর্জির পক্ষে সওয়াল করছে। যা ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে টেনশন আরো বাড়িয়েছে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন দিনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, যে দিন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান ইটালির এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জার্মানির সমালোচনা করেছেন। তার বক্তব্য, জার্মানির সঙ্গে অস্ত্রের চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও ইউক্রেনকে তারা যথেষ্ট অস্ত্র দিচ্ছে না। সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়েও জার্মানি কার্যত নীরব বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারপরেই এই ফোন ইঙ্গিতবাহী। বস্তুত, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন স্টকহোমে। সেখানে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই বৈঠকেও রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জার্মানি।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, ডিপিএ)