ইউক্রেন: পাঁচ শহরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সুযোগ
৮ মার্চ ২০২২মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফেক্স জানিয়েছে চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ, মারিউপল এবং রাজধানী কিয়েভ অস্ত্রবিরতির অধীনে থাকছে৷ এর আগে ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক দেশটির টেলিভিশনে দেয়া ঘোষণায় জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী সুমির নাগরিকেরা স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা থেকে শহর ত্যাগ করতে পারবেন৷
কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর ওকেকসি কুলেবা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাজধানী কিয়েভের কাছের ইরপিন শহর থেকে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ ১৫০ জনের বেশি শহর ত্যাগ করেছেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে৷’’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় রাশিয়াকে অস্ত্রবিরতি মেনে চলার অনুরোধ জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাশিয়াকে বলব তারা যাতে অস্ত্রবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কাজ চলতে দেয়৷’’
এর আগে শনিবার কয়েকটি শহরে মানবিক করিডরের ঘোষণা দিয়েও রাশিয়া হামলা অব্যাহত রাখে বলে অভিযোগ করে ইউক্রেন৷ সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছয়টি মানবিক করিডরের প্রস্তাব দেয়া হয়৷ তবে সেগুলো বেশিরভাগ বেলারুশ ও রাশিয়াকে যুক্ত করায় তা প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন৷
সুমিতে বিমান হামলায় হতাহত
সোমবার রাতে রাশিয়ান বাহিনীর বিমান হামলায় সুমি শহরে অন্তত নয়জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশুও আছে৷ সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় জড়িতরা এমন তথ্য জানিয়েছেন৷ রাশিয়ার বিমান থেকে সেখানে অন্যায়ভাবে আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে বলে টেলিগ্রামে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন তারা৷
এদিকে সুমির স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান দিমিত্র ঝিভিৎস্কি হামলায় শহরটির ১০ বাসিন্দার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন৷ সেই সঙ্গে ‘রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে' ইউক্রেনের চার সেনা নিহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
এফএস/কেএম