1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার চার শর্ত

৭ মার্চ ২০২২

কিয়েভ যদি প্রস্তাব মেনে নেয় তাহলে ‘মুহূর্তেই’ রাশিয়া আক্রমণ থামাবে বলে উল্লেখ করেছে মস্কো৷ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/4875A
রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের একটি স্কুল ভবন
রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের একটি স্কুল ভবনছবি: Viacheslav Ratynskyi/REUTERS

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার পক্ষে চারটি শর্ত দিয়েছেন দিমিত্রি পেসকভ৷ সেগুলো হলো:

- ইউক্রেনকে অস্ত্রচালনা বন্ধ করতে হবে৷ 
- ইউক্রেন ন্যাটো বা ইইউতে যোগ দেবে না ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে এমন সাংবিধানিক ঘোষণা দিতে হবে৷
-ক্রিমিয়ার উপর রাশিয়ার সার্বোভৌমত্বের স্বীকৃতি দিতে হবে৷
-লুহানস্ক ও দোনেৎস এর স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে৷

পেসকভ শর্তগুলো উল্লেখ করে বলেন, ‘‘আমরা সত্যিকার অর্থেই ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করছি৷ আমরা এটা শেষ করব৷ মূল বিষয়টি হচ্ছ ইউক্রেন তার সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করবে৷ তারা তাদের সামরিক কার্যক্রম থামালে কেউ কোনো গুলি করবে না৷’’

তিনি জানান এই শর্তগুলোর বিষয়ে কিয়েভও অবগত রয়েছে৷ এমন অবস্থায় সোমবার দুপুরে দুই দেশের প্রতিনিধিরা পোল্যান্ড, বেলারুশ সীমান্তে বৈঠকে বসছেন৷

তুরস্কে আলোচনায় বসবেন রুশ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা৷ সোমবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা টিএএসএসকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন৷

বার্তা সংস্থা এএফপি টিএএসএস-এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এই সম্মতি দিয়েছেন৷ এর্দোয়ান এই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানানো হয়ে সংবাদ সংস্থাটির পক্ষ থেকে৷ 

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এটিই এমন উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে৷ এর আগে দুই দফা দেশ দুইটির সরকার প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসলেও যুদ্ধ বন্ধে তা ভূমিকা রাখতে পারেনি৷

সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু দেশটির গণমাধ্যমে সম্ভাব্য বৈঠকের ঘোষণা দেন৷ আনাতোলিয়াতে সেই বৈঠকে তিনি নিজেও অংশ নিবেন বলে জানান৷ 
 
ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমুদ্রসীমা রয়েছে৷ দেশ দুইটিকে শুরু থেকেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আঙ্কারা৷ মস্কো ও কিয়েভ দুই পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও রাশিয়ার হামলাকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করে আসছে তারা৷ তবে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞারও বিরোধিতা করে আসছে আঙ্কারা৷ 

এর আগে শনিবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছিলেন ফলপ্রসূ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি লাভরভের সঙ্গে বসতে রাজি৷ 

কিয়েভের উপকণ্ঠে ইরপিন নদী পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে একটি পরিবারকে সহায়তা করছেন ইউক্রেনীয় সেন্যরা
কিয়েভের উপকণ্ঠে ইরপিন নদী পেরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে একটি পরিবারকে সহায়তা করছেন ইউক্রেনীয় সেন্যরাছবি: Emilio Morenatti/AP/picture alliance

রাশিয়ার মানবিক করিডরের প্রস্তাব ইউক্রেনের প্রত্যাখ্যান

রাশিয়ার প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বেলারুশ ও রাশিয়াকে যুক্ত করায় একে ‘সম্পূর্ণ অনৈতিক’ হিসেবে অভিহিত করেছে ইউক্রেন৷ মানবিক করিডরের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী৷

ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার ঘোষিত মানবিক করিডরে দেশটির মানুষকে স্বাধীনভাবে সরে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না৷ এমনভাবে সেটি করা হয়েছে যাতে তারা বেলারুশ বা রাশিয়ার দিকে যেতে বাধ্য হন৷ ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক এক প্রতিক্রিয়ায় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷’’ তার বদলে ইউক্রেনীয়দের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে সোমবার থেকে পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লাভিভে যুদ্ধবিরতি চান তারা৷

এর আগে সোমবার সকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর আলোচনার পর ইউক্রেনকে প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়া৷ চারটি শহর কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপল এবং সুমিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়৷ সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়৷ ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আশঙ্কা, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই রাশিয়া চূড়ান্ত শক্তি দিয়ে কিয়েভে হামলা করবে৷

ভেরেসচুক বলেন, ‘‘আমি আশা করব প্রেসিডেরন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ বুঝতে পারবেন যে তার নাম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টাকে রাশিয়ান ফেডারেশন অপব্যবহার করছে৷’’

শনিবারও দুইটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল৷ তবে এর মধ্যও রাশিয়ার গোলাগুলির কারণে শহর দুইটি থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ বাধাগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেছে ইউক্রেন৷

রাশিযার প্রস্তাবিত ছয়টি মানবিক করিডর

-কিয়েভ থেকে গোমেল, দক্ষিণপূর্ব বেলারুশ

-মারিউপোল থেকে জেপোরিজঝিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউক্রেন

-মারিউপোল থেকে রস্তভ-অন-ডন, দক্ষিণ রাশিয়া

-খারকিভ থেকে বেলগোরোদ, দক্ষিণ রাশিয়া

-সুমি থেকে বেলগোরোদ

-সুমি থেকে পোলতাভা, মধ্য ইউক্রেন

আরো সংবাদ আসছে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান