ইউটিউবের ব্যবহারকারী বেড়েছে
২৩ মার্চ ২০১৩
গত সপ্তাহে এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউব জানায়, ‘‘আমাদেরকে যদি একটি দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে চীন এবং ভারতের পরেই আমাদের অবস্থান৷’’
উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের প্রসার ঘটায় এবং স্মার্টফোনে সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কোটি কোটি মানুষ এখন নিয়মিত ইন্টারনেটে বিচরণ করতে পারছেন৷ ফলে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোসহ ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে৷
সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার সংগীতশিল্পী সাই এর ‘গ্যাংনাম স্টাইল’ গানটি ইউটিউবের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে৷ এখন অবধি এই ভিডিওটি সেখানে প্রদর্শন হয়েছে প্রায় দেড় বিলিয়ন বার৷
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে সাবেক তিন পেপ্যাল কর্মী ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন৷ প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় প্ল্যাটফর্মটি৷ লাখ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইউটিউবে প্রবেশ করতে থাকে৷ ২০০৬ সালে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ইউটিউব কিনে নেয় গুগল৷
এক বছর আগেও ইউটিউবের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল আশি কোটির মতো৷ এখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ায় ইউটিউব থেকে বাড়তি মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো গুগলের সামনে৷ এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত সার্চ সেবা সম্পৃক্ত বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভরশীল৷
গুগল অবশ্য ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে তাদের কতটা লাভ হচ্ছে, সেটা আলাদাভাবে প্রকাশ করে না৷ সাইটটিতে বিনা খরচায় যে কেউ ভিডিও আপলোড করতে পারে৷ এডএজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ কিছু ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে সাবসক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করতে পারে ইউটিউব৷
ইউটিউব ইতোমধ্যে পেইড চ্যানেল চালু করার জন্য বেশ কয়েকজন ভিডিও নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, দাবি এডএজ’এর৷ এসব চ্যানেল দেখতে মাসে ১ থেকে ৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত সাবসক্রিপশন ফি প্রয়োজন হতে পারে৷
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ইউটিউবের চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশে গত বছর থেকে বন্ধ আছে ইউটিউব৷ ধর্মীয় অবমাননাকর ভিডিও ধারনের দায়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি গত সেপ্টেম্বরে সাইটটি ব্লক করে দেয়৷ ফলে চাহিদা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে প্রবেশ সম্ভব হচ্ছে না৷
এআই / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)