ইউরো-এলাকার সংকট মোকাবিলায় ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
২৯ নভেম্বর ২০১১স্বাভাবিকভাবেই ইউরোজোনের ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট নিয়ে ভীষণ চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই তারা সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ তবে অর্থ দিয়ে নয়৷ ইউরো এলাকার সংকট অ্যাটলান্টিকের দু'দিকেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই৷ এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে নতুন এক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা জোরদার হবে৷ তাই গতকাল ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফন রম্পয়, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল বারোসো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন-এর সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার৷
তবে না৷ আর্থিক সাহায্য নয়৷ আলোচনার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়েছেন যে, অর্থ সাহায্য নয়, বরং ১৭ সদস্যের ইউরোজোনকে বর্তমান সংকট থেকে বের করে আনতে যে কোনো ধরনের পরামর্শ দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র৷ ভুলে গেলে চলবে না, ২০০৭ সালের আর্থিক মন্দার যে অবস্থা অ্যামেরিকায় তৈরি হয়েছিল – তার থেকে অনেকটাই উঠে আসতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই হোয়াইট হাউস-এর মুখপাত্র জে কার্ন-এর কথায়, ‘‘মার্কিন করদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো সাহায্য ইউরোপের প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি না৷''
ওদিকে, এই সংকট সমাধানের নানা পন্থা নিয়ে কথা হচ্ছে ইউরোপের মধ্যেও৷ ইউরোভুক্ত দেশগুলির জন্য এক ধরনের ‘কমন বন্ড' চালু করা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)-এর ভূমিকা কি হবে – তা নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এবং ইইউ কমিশনের প্রধান বারোসো'র মধ্যে মতভেদ রয়েছে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তিতে কিছু জরুরিভিত্তিক পরিবর্তন আনতে চান ম্যার্কেল ও সার্কোজি৷ এর ফলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর, মানে তাদের বাজেটের ওপর কড়া চোখ রাখতে পারবে ব্রাসেলস৷ এবং প্রয়োজনে, এই যেমন কোনো সদস্য যদি রাজস্ব সংক্রান্ত নিয়মনীতি লংঘন করে, তবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করতে পারবে তারা৷ ৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইইউ সম্মেলনে ঐ চুক্তি পরিবর্তনের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক