সংসদে বিপুল সমর্থন পেল ম্যার্কেলের ‘ইউরো বাঁচাও' প্রস্তাব
২৬ অক্টোবর ২০১১বুন্ডেস্টাগে ভোটের ফলাফল
ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই সংকটে পড়েছে অভিন্ন মুদ্রা ইউরো৷ সেইসব দেশগুলিকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে জার্মানির ভূমিকা নিয়ে জার্মান সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সমর্থন পেয়ে গেলেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ফলাফল দাঁড়িয়েছে, চ্যান্সেলরের সমর্থনে ৫০৩ জন সাংসদের ভোট৷ মোট ৬২০ জন সাংসদের এই নিম্নকক্ষে এদিন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৮৯ জন সাসংদ৷ আর চারজন সাসংদ ছিলেন অনুপস্থিত৷
ম্যার্কেল কী বললেন?
বিশ্বজোড়া আর্থিক সংকটের মধ্যে ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তিত৷ সাম্প্রতিক অতীতে ইউরোপের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির দেশগুলি, যেমন গ্রিস, আয়ারল্যান্ডের জন্য সাহায্য দেওয়ার সময়ে জার্মানিকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হয়েছিল৷ কিন্তু এখন যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশেই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা, তখন ম্যার্কেল ইউরোকে বাঁচাতে চাইছিলেন একটি অভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করতে৷ ইউরোপীয়ান ফিনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফান্ড বা ইএফএসএফ নামের যে প্যাকেজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতাশটি দেশ অংশ নেবে৷ এবং সহায়তা করবে৷ যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে তার মোকাবিলা করার কাজটা সহজতর হয়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে, তাঁর নিজের দেশের সংসদে আজকের এই সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই৷ ইউরোকে বাঁচাতে তাই ম্যার্কেলের স্লোগান ছিল, ‘নাউ অর নেভার' ৷
ইএফএসএফ তহবিলের পক্ষেই জার্মান সংসদ
মোটের ওপর সংসদের দারুণ সমর্থন পেয়েছেন চ্যান্সেলর৷ তবে, তাঁর নিজের সিডিইউ সিএসইউ জোট সরকারের বেশ কিছু সাংসদ বিপক্ষে গিয়েছেন তাঁর সরকারের সিদ্ধান্তের৷
ব্রাসেলস সম্মেলনে জোর পাবেন জার্মান চ্যান্সেলর
আজ বুন্ডেস্টাগে ইএফএসএফ তহবিলের পক্ষে ম্যার্কেলের এই সম্মতিলাভ অবশ্যই ব্রাসেলস সম্মেলনে কাজে দেবে৷ ইউরোর পায়ের তলায় মাটি আনতে জার্মানির ভূমিকা এই বিজয়ের পরে যেখানে পৌঁছেছে, তাতে এই উদ্যোগে জার্মানির নেতৃত্ব অনস্বীকার্য বলেই মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে৷ ফ্রান্সের পরামর্শ ছিল, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ওপরেই যাবতীয় আর্থিক দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার৷ কিন্তু অন্যান্য দেশ সহ জার্মানির প্রবল চাপের মুখে তা খারিজ হয়ে যায়৷ বর্তমানে যে অবস্থানে জার্মানি নিজেকে নিয়ে যেতে পারল, তাতে ব্রাসেলসের বৈঠকে এই ইএফএসএফ তহবিল গড়ার বিষয়ে আলোচনা তিনি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক মহলে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : আবদুল্লাহ আল-ফারূক