ইউরোভিশনের পর ‘ওয়ার্ল্ডভিশন’ গানের প্রতিযোগিতা?
১৭ মে ২০১১ইউরোপীয় গানের প্রতিযোগিতা এবার অনুষ্ঠিত হয় জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরে৷ সে অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখেছেন বিশ্বের ৫৫টি দেশের মোট সাড়ে বারো কোটি মানুষ৷ দেখেছেন গতবারের বিজয়িনী লেনা মায়ার-লান্ডরুট কিভাবে দশম স্থান পেলেন, জিতলেন আজারবাইজানের গায়ক-গায়িকা জুটি এলি-নিক্কি৷ কিন্তু লেনাই শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একটি বিশ্বব্যাপী গানের প্রতিযোগিতা বা ‘ওয়ার্ল্ডভিশন'-এর ধারণাটি তুলে ধরেন৷ মনে রাখা দরকার, লেনার বয়স ১৯৷ কে জানে, এটাই হয়তো আধুনিক বিশ্বের লক্ষণ৷
ইউরোভিশনের নরওয়েজীয় পরিচালক সান্ড একটি বিশ্বব্যাপী গানের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব বলেই মনে করেন৷ তবে সেটা একটা সুবিশাল লজিস্টিকাল চ্যালেঞ্জ হবে বলে তাঁর ধারণা৷ অপরদিকে ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট যে ইউরোপের বিভিন্ন ঋণগ্রস্ত দেশের সমস্যাপীড়িত মানুষদের অন্তত মুহূর্তের সান্ত্বনা এনে দিয়েছে, সান্ড সেকথাই বলেন৷ ঋণসমস্যা যখন ইউরোপীয় সংহতির মূল ধরে টান দিচ্ছে, ঠিক তখনই ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা ইউরোপের মানুষকে আবার এক করেছে৷ তবে ‘ওয়ার্ল্ডভিশনের' কল্পনার খেয়া বেয়ে বিশ্বসংহতির আদর্শ অবধি যেতে দ্বিধা করেছেন সান্ড৷
সত্যি বলতে কি, ইউরোভিশন সং কন্টেস্টের সুনাম-দুর্নাম দুইই আছে৷ নাক-উঁচুরা এই ধরণের সস্তার, অনুকরণ-সৃষ্ট গানের, উদ্ভট সাজগোজ কি ঠুনকো স্টেজ শো'র ধারে-কাছে যেতে চান না৷ তাদের কাছে এটা হল প্রতিভাহীনতা এবং খেলো পছন্দের পরাকাষ্ঠা৷ অপরদিকে ইউরোপের বহু ছোট দেশের কাছে এই ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট হল পাদপ্রদীপের আলোয় ঠিক বড় দেশগুলির মতোই আসার, এমনকি জেতার, একটা সুবর্ণ সুযোগ৷ আর মঞ্চটাও তো এখন ইউরোপ ছাড়িয়ে সুদূর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, ক্যানাডা, মিশর, ভারত, জর্ডান, হংকং, কোরিয়া এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবধি ব্যাপৃত৷
স্বপ্নেই দেখা যাক, অনাগত কোনো ভবিষ্যতের ওয়ার্লডভিশন জিতছে বাংলাদেশের এক তরুণ গায়ক, গিটার হাতে, নতুন ধরণের পপ-বাউল গান গেয়ে...
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক