ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশ কার্যালয়ে বোমা
১৪ মে ২০১৮সুরাবায়া ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর৷ পাঁচ সদস্যের পরিবারটি সুরাবায়ার মুখ্য পুলিশ কার্যালয়ের উপর মোটর সাইকেল থেকে আক্রমণ চালায় বলে প্রকাশ৷
মাত্র গতকালই সুরাবায়ার তিনটি গির্জার উপর বোমা হামলায় অন্তত আট জন নিহত ও অনেকে আহত হন৷ এইসব আক্রমণের জন্য যে পরিবারটি দায়ী, সেই পরিবারেও দু'টি নয় ও বারো বছরের কিশোরী ছিল৷
এ পর্যন্ত যা জানা গেছে
- সকাল আটটা পঞ্চাশ মিনিটে পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে অবস্থিত সিকিউরিটি চেকপয়েন্টে একটি মোটরসাইকেল বোমা ফাটে বলে পুলিশ জানিয়েছে;
- পাঁচ সদস্যের পরিবারটি দু'টি মোটরসাইকেলে চড়ে আসে৷ শুধুমাত্র আট বছর বয়সের মেয়েটি এই আত্মঘাতী বোমা হামলা থেকে প্রাণে বাঁচে, পরিবারের বাকি চার সদস্য নিহত হয়৷ ঘটনায় চারজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ছ'জন বেসামরিক নাগরিকের আহত হয়েছে বলে জানা গেছে
- সিসিটিভির ফুটেজে একটি বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেলেও, মোট দু'টি বোমা ফাটানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা;
- ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে সুরাবায়ার দক্ষিণে একটি ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ ঘটার পর, ফ্ল্যাটের মালিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়৷
সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংস্কার করবে
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সুরাবায়ার হামলার নিন্দা করে বলেছেন যে, ইসলামি জঙ্গিদের মোকাবিলা করার জন্য নতুন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন চালু করা হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা কাপুরুষদের কাজ, বর্বর ও মর্যাদাহীন৷’’
দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মন্ত্রী ভিরান্তো বলেন যে, সংস্কারকৃত আইনের বলে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের আক্রমণ রোখার জন্য ‘‘প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ’’ নিতে পারবেন৷
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত দেশ৷ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এখানে স্বদেশি ইসলামি জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে, যা অংশত তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত৷
এ ধরনের জঙ্গি হামলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে৷ সেবার চার আত্মঘাতী বোমারু ও বন্দুকধারী রাজধানী জাকার্তার একটি ব্যবসায়িক এলাকার উপর আক্রমণ চালায়৷
ইন্দোনেশিয়ায় বোমা সন্ত্রাসের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে, যখন পর্যটকদের প্রিয় বালি দ্বীপে এক সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে এক রাত্রে ২০২ জন প্রাণ হারান৷ নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন বিদেশি৷
এসি/এসিবি (এপি, এএফপি)