ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮৯ জন নিহতের আশংকা
২৯ অক্টোবর ২০১৮ইন্দোনেশিয়ার বাজেট এয়ারলাইন লায়ন এয়ার জাকার্তার সুকর্ণ-হাতা বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়ার মাত্র ১৩ মিনিট পর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ৷ লায়ন এয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটিতে ৮ জন ক্রুসহ মোট ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন৷ এছাড়া আরোহীদের মধ্যে ছিলেন ২৩ জন সরকারি কর্মকর্তা৷ উদ্ধার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাভার পশ্চিম প্রদেশ কারাওয়াং-এর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘‘এই দুর্ঘটনায় কারো বাঁচার সম্ভাবনা আছে কিনা আমরা বলতে পারছি না৷ আমরা কেবল প্রার্থনা করছি, কিন্তু নিশ্চিত করে কিছুই বলার নেই৷''
উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত বিমান আরোহীদের কয়েকটি মোবাইল ফোন, লাইফ ভেস্ট এবং বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছেন৷
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান টুইটারে উদ্ধারকাজের কিছু ছবি টুইট করেছেন৷
লায়ন এয়ার জানিয়েছে, সুমাত্রার পূর্বাঞ্চলে বাঙ্কা দ্বীপে রওনা হয়েছিল যাত্রীবাহী বিমানটি৷ পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় জেলেরাসহ অন্তত তিনশ' মানুষ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন৷ ডুবুরিরা বিমানটি ঠিক কোন জায়গায় বিধ্বস্ত হয়েছে তা খোঁজার চেষ্টা করছেন৷
সুইডিশ ফ্লাইট ট্রেকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার-২৪ জানিয়েছে, বোয়িং ৭৩৭ এমএএক্স ৮ ফ্লাইটটিকে গত আগস্টে লায়ন এয়ারের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ তারা টুইটারে জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিমানের গতি খুব বেশি ছিল এবং শেষ মুহূর্তে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে৷
লায়ন এয়ার সাংবাদিকদের জানিয়েছে, আগস্ট থেকে তারা এই বিমানটি পরিচালনা করছে৷ এর পাইলট এবং কো-পাইলট দু'জনই অন্তত ১১ হাজার ঘণ্টা ‘ফ্লাইং টাইম' পাড়ি দিয়েছেন৷ বিমানটি ওড়ার সময় আবহাওয়া একেবারে ভালো ছিল, কোনো মেঘ, ঝড় বা ঝড়ো বাতাসের লক্ষণ ছিল না৷
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি বোয়িং জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় ভীষণভাবে শোকাহত৷ এর তদন্তে তারা সব ধরনের সহযোগিতা করবে৷ ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে৷ ২০১৩ সালে বালির কাছে লায়ন এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)