শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড!
২৯ মে ২০১৬গত এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে সুমাত্রা দ্বীপের বেংকুলুতে এক ১৪ বছরের কিশোরী হেঁটে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় একদল পানোন্মত্ত পুরুষ ও কিশোর তাকে ধরে নিয়ে যায়৷ এর বেশ কয়েক দিন পরে মেয়েটিকে জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া যায়, বাঁধা অবস্থায়৷ সে তখন মৃত৷
এই ঘটনার ফলে দেশ জুড়ে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তার চাপেই যে উইডোডো এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলেন, এ কথা নতুন ডিক্রির সমালোচকরাও বলছেন৷ তবে ঘটনা হলো এই যে, ইন্দোনেশিয়ায় এ বছর প্রায় আড়াই হাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে, তার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৬০০৷ শিশু নির্যাতন ও শিশু ধর্ষণের ঘটনাও আছে এর মধ্যে৷
২০০২ সালের শিশু সুরক্ষা আইনে এবার যুক্ত হলো কেমিক্যাল ক্যাস্ট্রেশন, অর্থাৎ রাসায়নিক সেবন করিয়ে লিবিডো বা যৌন কামনা কমিয়ে দেওয়া এবং আরো বড় কথা, মৃত্যুদণ্ড৷ কমপক্ষে ১০ বছর ও সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ডেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এছাড়া ছাড়া পাবার পরেও যৌন অপরাধীদের পায়ে ইলেকট্রনিক বেড়ি পরে থাকতে হবে৷
উইডোডো এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ লক্ষণীয়ভাবে বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে৷'' ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার মন্ত্রী ইয়াসোনা লাওলি এর সঙ্গে যোগ করেছেন যে, যে সব অপরাধীর বস্তুত নিপীড়িত শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল, তাদের ক্ষেত্রেই বর্ধিত দণ্ডাদেশ প্রযোজ্য হবে৷ ‘‘কাজেই এটা শুধু নপুংসকরণের আইন নয়’’, – ইয়াসোনা তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন৷
শিশু ধর্ষণকারীদের জন্য বর্ধিত সাজা ইন্দোনেশিয়ার জনগণের কাছে প্রশংসাই পেয়েছে, যদিও মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা বিশেষ সুখি নন৷ তাঁরা বলছেন, নতুন ডিক্রি কিছুটা লোক-দেখানো প্রতিক্রিয়া এবং বর্ধিত সাজা এক ধরনের প্রতিহিংসার সমতুল৷ বাস্তবে সরকারের যৌন অপরাধের কার্যকারণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেই৷ ওদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সাধারণভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী ও রাসায়নিক নপুংসকরণের ভীতি থেকে যৌন অপরাধ কমবে বলে কমিশনের কিছু সদস্য মনে করেন না৷
এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)
শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যদণ্ড – আপনার কী মনে হয়? আপনি কি এমন শাস্তিকে সমর্থন করেন?