1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে মোকতাদার জোট এগিয়ে

১৫ মে ২০১৮

জনপ্রিয় শিয়া ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর ইরাকে মার্কিন দখলদারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে প্রচারে এসেছিলেন৷ এবার তিনি জনগণের ইরান সম্পর্কে অসন্তোষ থেকেও লাভবান হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2xjeq
ছবি: Reuters/A. Jadallah

কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই মোকতাদা আল-সদরের ‘সইরুন বা সংস্কারের দিকে অগ্রসর’ জোট ইরাকে ইসলামিক স্টেটের পরাজয়ের পর অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনে প্রথম স্থান অধিকার করতে চলেছে৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরানপন্থি হাদি আল-আমিরির ‘বিজয়’ জোট; তৃতীয় স্থানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির জোট৷ 

৪৪ বছর বয়সি আল-সদর হলেন একমাত্র ইরাকি নেতা, যিনি ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উভয় শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন৷ এর ফলে ইরাকের দরিদ্র শিয়াপন্থিদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, কেননা, তাঁদের ধারণা যে, তেহরান অথবা ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইরাক সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে তাঁরা নিজেরা বিশেষ লাভবান হননি৷ আল-সদর স্বয়ং নিজেকে চিরকাল জাতীয়তাবাদী বলে বর্ণনা করে এসেছেন৷

যেমন সর্বহারা শিয়াপন্থি, তেমনই কোণঠাসা সুন্নিদের মধ্যে আল-সদর জনপ্রিয়৷ অপরদিকে তিনি ইরাকের সুন্নি প্রতিবেশী, বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করে ইরাকে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে কিছুটা রুখতে পেরেছেন৷

আল-সদর তাঁর মাহদি সেনা নিয়ে দু'দুবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হন৷ এককালে পেন্টাগন তাঁকে ও তাঁর মাহিদি সেনাকে ইরাকে নিরাপত্তার বৃহত্তম ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল৷

আল-সদরের কর্তৃত্বের আরেকটি উৎস হলো তাঁর পরিবারের সুনাম৷ তিনি গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ মোহাম্মেদ সাদেক আল-সদরের সন্তান, যিনি সাদ্দাম হুসেনের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য নিহত হন৷

আগামীতে

যেহেতু আল-সদর এই নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না, সেহেতু তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না৷ তবে আগামী প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নে তাঁর নিঃসন্দেহে একটি বড় ভূমিকা থাকবে৷

আল-সদর একটি টুইটে আভাস দিয়েছেন যে, আগামীতে ইরাকের নেতৃস্থানীয় ব্লকগুলির মধ্যে টেকনোক্র্যাটভিত্তিক একটি প্রশস্ত জোট গড়া হতে পারে; আল-আবাদির ব্লকও তার মধ্যে থাকবে৷ তবে আল-সদর এই পরিকল্পনা থেকে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী, ইরানপন্থি ‘বিজয়’ জোটকে বাদ দিয়েছেন৷

ইরাকের নির্বাচন পদ্ধতির জটিলতার কারণে ৩২৯ সদস্য বিশিষ্ট সংসদে শেষমেষ কোন দল বা গোষ্ঠী কতগুলি আসন পাবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়৷ প্রধানমন্ত্রী আল-আবাদি ‘বিজয়ী তালিকাগুলিকে’ অভিনন্দন জানিয়েছেন ও সবপক্ষকে ভোটের ফলাফল মেনে নিতে বলেছেন৷ আল-আবাদি শুধুমাত্র উত্তরের কিরকুক প্রদেশে ভোট পুনর্গণনার ডাক দিয়েছেন৷

মাত্র ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার এবার ভোটে অংশগ্রহণ করেন, যা কিনা ২০০৩ সালে সাদ্দাম হুসেনের পতন যাবৎ সর্বনিম্ন৷

এসি/এসিবি (এপি, এএফপি)