ইস্তানবুলে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করল আইএস
২ জানুয়ারি ২০১৭আইএস অতীতেও এই পন্থায় বিভিন্ন হামলার দায়িত্ব নিয়েছে৷
বিবৃতিতে তথাকথিত মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠীটি লিখেছে, ‘‘ইসলামিক স্টেট ক্রুশের রক্ষাকারী তুরস্কের বিরুদ্ধে যেসব পবিত্র অভিযান চালাচ্ছে, তার অনুবর্তন হিসেবে খেলাফতের এক বীর সৈনিক প্রখ্যাততম একটি নাইট ক্লাবে আঘাত হেনেছে৷''
নিউ ইয়ার্স ডে পালনের জন্য ইস্তানবুলের জনপ্রিয় নাইট ক্লাবটিতে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ৭০০ অতিথি৷ মধ্যরাতের এক ঘণ্টার মধ্যেই এক বন্দুকধারী প্রহরারত এক পুলিশ ও নাইটক্লাবের রক্ষীকে গুলি করে ভিতরে ঢোকে ও এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করে৷ আহত হন প্রায় ৭০ জন৷
আততায়ী একজন ছিল বলেই কর্তৃপক্ষের ধারণা, যদিও সে একাধিকবার পোশাক বদল করে থাকতে পারে - অন্তত সে যে পোশাকে নাইট ক্লাবে ঢুকেছিল, সেই পোশাকে সে সেখান থেকে বের হয়নি৷ পুলিশ সিকিউরিটি ফুটেজ থেকে আততায়ীর একটি অস্পষ্ট সাদা-কালো ছবি প্রকাশ করেছে৷ তুরস্কের সংবাদপত্র ‘হুরিয়েৎ' ও ‘কারার' সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে খবর দিয়েছে যে, আততায়ী উজবেকিস্তান বা কিরগিজস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার কোনো দেশ থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশ দৃশ্যত বিদেশি, তাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত৷ সৌদি আরব, মরক্কো, লেবানন, লিবিয়া, ইসরায়েল ও ভারতের নাগরিক ছাড়া তুরস্ক ও বেলজিয়ামের এক যৌথ নাগরিক ও এক ফরাসি-টিউনিশীয় মহিলাও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন৷ সৌদি আরবের আল-রিয়াদ পত্রিকা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সৌদি আরব থেকে এসেছিলেন৷
ভারতীয় মিডিয়া জানাচ্ছে, ভারতের যে দু'জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন রাজ্যসভার এক সাবেক সদস্যের পুত্র আবিস রিজভি ও গুজরাত থেকে আগত খুশি শাহ৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিহতদের পরিবারের ভিসার ব্যবস্থা করার খবর দিয়েছেন ও তুরস্কে নিয়োজিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ইস্তানবুল যাবার নির্দেশ দিয়েছেন৷
ওসি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)