1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত পাঁচ বাঙালি যুবক

২২ অক্টোবর ২০২১

উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি, বন্যা ও ধসের ফলে মারা গেছেন অন্ততপক্ষে পাঁচজন বাঙালি যুবক। তারা ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন। পাঁচজন এখনো নিখোঁজ।

https://p.dw.com/p/420XO
উত্তরাখণ্ডে আটক পর্যটকদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: National Disaster Response Force via AP/picture alliance

দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত বাঙালি পর্যটকরা প্রচুর সংখ্যায় উত্তরাখণ্ড যান। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী তো বটেই, হরিদ্বার থেকে শুরু করে দর্শনীয় স্থানগুলিতে ভিড় করেন প্রচুর বঙ্গসন্তান। আর যুবকরা যান ট্রেকিং করতে। এমনই একটি ট্রেকিং দল গত ১৪ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের হরশিল থেকে হিমাচলে ছিটকুলের দিকে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল। ১৭ অক্টোবর দুর্যোগের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। উত্তরাখণ্ড স্টেট রেসপন্স ডিজাস্টার ফোর্সের ডিআইজি ঋধিম আগরওয়াল বলেছেন, ওই ট্রেকিং দলের পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

আরেকটি ট্রেকিং দলের সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে না। এই দলে হাওড়ার বাগনানের তিনজন ও বেহালা ও নদিয়ার একজন যুবক আছেন। রাজ্য প্রশাসনের মতে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া পর্যটক ও ট্রেকিং দলের ১৫০ জনের মতো মানুষ আটকে পড়েছেন।

Indien Uttarakhand Starkregen Überschwemmungen
ঋষিকেশের অবস্থা। গঙ্গায় জল অনেকটা বেড়ে গেছে।ছবি: UNI/Xinhua/picture alliance

উত্তরাখণ্ডের অবস্থা এখনো খারাপ। আবহাওয়া প্রতিকূল। খারাপ আবহাওয়ার ফলে উদ্ধারকাজ ঢিমে গতিতে চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দিল্লিতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বন্যা, ধসে মৃত ৪৫

প্রবল বৃষ্টি ও তার ফলে বন্যা ও ধসের ফলে এখনো পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ৪৫ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নৈনিতালের।

Indien Uttarakhand Starkregen Überschwemmungen
প্লাবিত জিম করবেন ন্যাশনাল পার্কের রিসর্টগুলি। ছবি: Mustafa Quraishi/AP Photo/picture alliance

সেখানে ১৮ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। কাঠগোদামে রেললাইন ভেসে গেছে। বহু রাস্তা ধসের ফলে বন্ধ। নৈনি লেকের জল বিপদসীমার এক ফুট ওপরে ছিল। লেকের জলে ভেসে গেছিল মল রোড। সেখানে প্রচুর মাছ চলে আসে। এই সময় নৈনিতালে প্রচুর পর্যটক যান। অনেকে সেখানে আটকে পড়েছিলেন।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, আনন্দবাজার)