উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি-ধস, মৃত ৩৪
২০ অক্টোবর ২০২১শীতের আগে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। কেরালা আগেই ভেসেছে। এবার ভাসল উত্তরাখণ্ড। নৈনিতাল, আলমোড়া, রানিখেতের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ। নৈনিতাল জেলার রামগড়ের একটি গ্রাম ধসের ফলে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানেই সব চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। বহু মানুষ এখনো বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে প্রশাসন মনে করছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
মুক্তেশ্বর ও নৈনিতালের আরো একটি জায়গায় ধসের ফলে দুই জন মারা গেছেন। উধম সিং নগরে একজন ভেসে গেছেন। ধসের ফলে নৈনিতাল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার দিকে একটি রাস্তা খোলা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখনো বাকি রাস্তা খোলা যায়নি। কাজ চলছে।
ল্যান্সডাউনে বোল্ডার চাপা পড়ে পাঁচজন নেপালি শ্রমিক মারা গেছেন। চম্পাবটে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। নৈনিতাল সহ যে জায়গাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা সবই পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। এই সময় প্রচুর মানুষ সেখানে যান।
বাঙালি পর্যটক উদ্ধার
১০জন বাঙালি পর্যটকের একটি দল কালচানাথে আটকে পড়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
কেদারনাথের ডিএফও অমিত কানোয়ার বলেছেন, ‘‘বাঙলি পর্যটকরা রুদ্রনাথ থেকে ফিরছিলেন। প্রবল বৃষ্টির ফলে তারা কালচানাথে আটকে পড়েন। তারা সাহায্য চেয়ে ফোন করেছিলেন। তারপর তাদের উদ্ধার করা হয়।'' আনন্দবাজার জানাচ্ছে, চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, তার স্ত্রী, মেয়ে ও দুই প্রতিবেশী কেদারনাথে আটকে রয়েছেন। যোশীমঠে আটকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগমের কর্মী কিশোর মিত্রের পুত্র, পুত্রবধূ ও তাদের দুই সন্তান।
নৈনিতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় আরো বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। হলদোয়ানি থেকে দিল্লি আসার রেলপথের একটা অংশে রেললাইনের তলার মাটি নদীর জলে ধুয়ে গেছে। তাই রেল চলাচল বন্ধ।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, মৃতদের পরিবারকে চার লাখ টাকা দেয়া হবে। যাদের বাড়ি ভেঙেছে, তারা পাবেন এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। তিনি হেলিকপ্টার করে দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফসলের খুবই ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গা জলের তলায় চলে গেছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)