উত্ত্যক্ততা প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত
১১ নভেম্বর ২০১০উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে গত ১০ মাসে আত্মহত্যা করেছেন অন্তত ২২ জন কিশোরী-তরুণী৷ আর উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মা ও শিক্ষক নিহত হয়েছেন বখাটেদের হাতে৷ এর বাইরে হামলা ও হুমকিতো রয়েছেই৷ তাই নারী উত্ত্যক্ততা প্রতিরোধে অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু হল৷ বুধবার এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্পর্শকাতর জায়গায় পুরোদমে কাজ শুরু করছে বৃহস্পতিবার থেকে৷
বাংলাদেশ দণ্ডবিধি'র ৫০৯ ধারাকে ভ্রাম্যামাণ আদালতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷ এই আইন অনুযায়ী নারীর শালীনতা ভঙ্গ করে এমন কোন শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা বস্তু প্রদর্শন অপরাধ৷ এর সর্বোচ্চ শাস্তি ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড৷ স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন৷ উত্ত্যক্ততা থেকে আত্মহত্যাসহ অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তার শাস্তি হবে প্রচলিত আইনে৷
ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই বুধবার বিকেলে পিরোজপুর ও পঞ্চগড়ে ৬ জন উত্ত্যক্ততারকারীকে শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ পঞ্চগড়ে ৩ জনকে ২শ' টাকা করে জরিমানা এবং পিরোজপুরে ৩ জনকে ১৫ দিন করে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম