উপজেলা নির্বাচন
২০ জানুয়ারি ২০১৪
আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় দেশের ১০২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ নির্বাচন কমিশন রবিবার নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করেছে ৷ নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে ৪৮৭টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে৷ কারণ সব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ একই সঙ্গে শেষ হবে না৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্য-বাধকতা আছে৷ আর প্রথম পর্যায়ে ১০২টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে৷
এদিকে এই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে রয়েছেন৷ কারণ স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছুই না পাওয়ার বেদনা পুষিয়ে নিতে চায়৷ তাই তারা চায় যে কেন্দ্রীয়ভাবে যেন এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া না হয়৷ কৌশল হিসেবে বর্জন বা অংশগ্রহণ – কোনো বিষয়ে কথা না বললেও চলবে৷ এর কারণ, উপজেলা নির্বাচন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হওয়ায় মনোনয়ন প্রকাশ্যে, দলীয়ভাবে হয় না৷
খুলনার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন পান্নু ডয়চে ভেলেকে জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরত রাখা যাবে না৷ কারণ তাঁরা দীর্ঘদিন নির্বাচনের বাইরে আছেন৷ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেরও বাইরে থাকলে তাঁরা কোনো নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানেই আর থাকবেন না৷ পান্নু জানান, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতারা এই তথ্য ও চাপের কথা কেন্দ্রকে দু-একদিনের মধ্যে জানিয়ে দেবেন৷ চট্টগ্রামের সাংবাদিক নাসির উদ্দিন তোতা ডয়চে ভেলেকে একই ধরণের কথা জানান৷ তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃণমূলের নেতারা কিছুটা হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান৷
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান মনে করেন, সরকার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে নতুন একটি কৌশল নিয়েছে৷ তারা যে সবার অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন চান তা পাশ কাটিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জোয়ার তুলতে চাইছে সরকার৷ তিনি এটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না৷ তবে বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও কি বর্জন করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদ আজম খান বলেন, সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি৷ সময় এলেই জানা যাবে৷
জানা গেছে, বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের একটি অংশ মনে করে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি যদি ভালো করে, তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে মাঠ দখলে রাখা যাবে৷ যা হবে সরকারের ওপর বড় একটি চাপ৷ তবে এটা সরকারের নতুন কোনো কৌশল কিনা – তাও দেখতে চায় তারা৷