জলবায়ু
১০ অক্টোবর ২০১২সোমবার থেকে শুরু হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ‘বন সংলাপ'৷ জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন সংলাপের বিভিন্ন দিক৷
মসুদ মান্নান বললেন, দোহায় অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের আগে আয়োজিত ‘বন সংলাপ'-এর গুরুত্ব অনেক৷ সংলাপের প্রথম দিনে তিনি এবং বাংলাদেশের আরেক আলোচক ড. সলিমুল হক প্রকৃতির কাছে বাংলাদেশ কতটা অসহায় সেই দিকটা তুলে ধরেন, জানান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷ বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে পুনর্বাসন করা যায়, তা করতে গেলে অর্থায়ন করবে কারা - এসবের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যে প্রকৃতির বিপক্ষে লড়ে টিকে থাকার অদম্য ইচ্ছে আছে - এমন অনেক বিষয়ই প্রথম দিনের আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে৷
প্রাকৃতিক দুর্যোগের যারা শিকার তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, করবেনই৷ তবে মসুদ মান্নান আর সলিমুল হক যে জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখা দেশগুলোরও, বিশেষ করে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোর জন্য কিছু করার কথা ভাবা উচিত, সে কথাও সংলাপে জোর দিয়ে বলা হয়েছে বলে সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে জানিয়েছেন মসুদ মান্নান৷ একটা সুখবরও দিয়েছেন তিনি৷ বাংলাদেশের আইইউবি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সলিমুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি সেন্টার, যার সঙ্গে ইউনাইটেড নেশন্স ইউনিভারসিটি, বাংলাদেশের সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ (রিসিএএস) এবং মিউনিখভিত্তিক ফাউন্ডেশন ম্যুনশেন রিফাউন্ডেশন মিলে একটা প্রকল্প শুরু করছে৷ এ প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কিছু স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে, মাস্টার্স কোর্স হবে এবং এসবের পাশাপাশি পোস্ট ডক্টরেট পর্যায়ের গবেষণাও চলবে বলে জানিয়েছেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷ তাই সব মিলিয়েই তাঁর আশা, ‘বন সংলাপ' বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু সুফল বয়ে আনবে৷
সাক্ষাৎকার: আশীষ চ্ক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ