‘নির্বাচনে যাবে না বিএনপি’
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সেই বৈঠকেই তিনি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন৷ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হেসাইন ভুইঞা জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নির্বাচন বর্তমান সরকারে মেয়াদের শেষ তিন মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে৷ এছাড়া, সময়ও বেধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আওয়ামী লীগ নেত্রী জানিয়েছেন নির্বাচন হবে ২৭শে অক্টোবর থেকে ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন৷ এই সময় সংসদ সদস্যরা থাকলেও তাঁদের কার্যকারিতা থাকবে না৷ সংসদের অধিবেশন বসবে না৷ আর মন্ত্রিসভা থাকবে, তবে তারা দৈনন্দিন কাজ করবেন৷ নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কশিমন৷ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশাসন কাজ করবে৷
এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণা এখন কোনো গুরুত্ব বহন করে না৷ আগে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকারকে সমঝোতায় আসতে হবে৷ বিএনপিসহ দেশের সাধারণ মানুষ এবং সুশীল সমাজ চায় নির্বাচন হোক নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷ আর বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বোচনে যাবে না৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে সংবধিানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অধীনেই নির্বাচন করতে চান৷ তার মানে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারে অধীনেই নির্বাচন হবে৷
তিনি বলেন, মেয়াদের শেষ তিন মাস না মেয়াদের পরের তিন মাসে নির্বাচন – তা এখন মোটেই গুরুত্বপূর্ণ না৷ গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷ সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মেনে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কিন্তু তাতে কাজ হবে না৷ বরং এতে দেশে অস্থিরতা বাড়বে৷ বিএনপি এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে৷ সরকার একতরফাভাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা করলে, বিএনপিও কঠোর আন্দোলনে যাবে৷ আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে তখন বাধ্য করা হবে সরকারকে৷
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মহাজোট সরকার গঠন করে৷ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা৷