1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার সংবাদ সম্মেলন

সমীর কুমার দে, ঢাকা৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে গত এক মাসে বিরোধী জোটের ৩০০ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা অথবা গুম করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1B2dT
ছবি: Getty Images

খালেদা জিয়া বলেন, এভাবে বিনা বিচারে হত্যা-গুম একটি সভ্য সমাজে চলতে পারে না৷ তিনি বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২৪২ জনকে হত্যা এবং ৬০ জনকে গুম করা হয়েছে৷ তবে বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ৷ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন৷ গুলশানের ওয়েস্টইন হোটেলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন বিএনপি-বিহীন দশম সংসদ নির্বাচনের পর, এটা তাঁর দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলন৷ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সিনিয়র নেতা এবং ১৯ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷

পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আইন-কানুন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী কাজ করে৷ এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ তবে ঢালাওভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা সমীচিন নয়৷ তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘটনায় মামলা হয়, এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর তদন্ত করে৷

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, প্রহসনের ভোটের মাধ্যমে গঠিত ‘অবৈধ' সরকার নির্বাচনের পর বিরোধী দল দমনে ‘বর্বরতা' চালাচ্ছে৷ গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রতারণার পর গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না৷ ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, একই ধারায় ভোট ছাড়াই অবৈধ সরকার গঠন করা হয়েছে৷ এঁরা কেউ নির্বাচিত নন৷ এই সরকার ও সংসদ যে গণতান্ত্রিক হতে পারে না, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছিল, দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে৷ ৫ ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যাননি৷

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যেটাই তাদের কাছে সুবিধাজনক মনে হয়, তখন সেটাই তারা বলে৷ যদি জনগণের ভাষা বুঝতে পারতেন, তাহলে তারা সব দলের সঙ্গে আলোচনার পর একটা সমঝোতায় পৌঁছাতেন৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান উপেক্ষা হলে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া৷ তবে দল গোছানোর জন্য তারা কিছুটা সময় নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘আমরাও অনির্দিষ্টকালের জন্য সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে যাব, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷'' নতুন নির্বাচনের জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট কোনো দিনক্ষণ বেঁধে দেবে কিনা – এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছেন তারা৷ তা না হলে বিএনপি কবে থেকে জোরদার আন্দোলনে যাবে – জানতে চাইলে খালেদা জিয়া সরকারের দমন-পীড়নের কথা তুলে ধরে বলেন, দল গুছিয়ে অচিরেই কর্মসূচি দেয়া হবে৷ তবে নির্দিষ্ট করে কোনো দিনের কথা তিনি জানাননি৷

জামায়াত ছাড়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর দল কার সঙ্গে জোট করবে সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের বলার কিছু নেই৷ এই প্রসঙ্গে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন বিএনপি চেয়ারপার্সন৷ দশম সংসদ নির্বাচনে না যাওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কিনা – জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল৷ খালেদা জিয়ার কথায়, ‘‘আমরা কোনো ভুল করিনি, ভুল করেছে সরকার, অবৈধ সরকার৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য