‘এটা একটা উসকানিমূলক লেখা'
১৮ ডিসেম্বর ২০১৫‘‘ক্রতি-বিচ্যুতি অবশ্যই কিছু আছে সমাজে, কিন্তু তাই বলে অনন্য আজাদের ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা ভয়ংকরভাবে নারী বিদ্বেষী' – এই বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ ঢালাওভাবে এ ধরনের মনগড়া কথাবার্তা কখনো কখনো সাময়িক বিভ্রান্তি ঘটাতে পারে বটে, তবে শেষ বিচারে আসামীর কাঠগড়ায় কিন্তু আপনাদেরই দাড়াতে হবে৷ বানোয়াট, মিথ্যা, যা নয় তাই, তিলকে তাল বানিয়ে ইচ্ছেমত রং-চং মাখিয়ে এ ধরনের খবর পরিবেশন দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, এটা একটা উসকানিমূলক লেখা৷'' অনন্য আজাদের লেখাটি পড়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য ফেসবুক বন্ধু শিশির অধিকারীর৷
‘‘একটা অনুরোধ, আপনি আপনার পরিবারের সমস্ত নারীকে ‘ওপেনলি' ঘুরতে বলেন, খোলামেলা চলতে বলেন, তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু অন্যদের আপনি দয়া করে বাহিরে টেনে আনবেন না৷ ওরা পর্দার ভিতরে আছে৷'' ডয়চে ভেলের ফেসবুকে এই অনুরোধ করেছেন মোশারফ বিন জামির৷
যে কোনো দেশের সমাজ ব্যবস্থার উন্নতি ও নিরাপত্তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রসহ পরিবারকেও এগিয়ে আসতে হয়৷ আর পাঠক সাইফুল ইসলাম সে'কথাটাই জানিয়েছেন তাঁর মতামতে এভাবে, ‘‘এটা দুঃখজনক, যে দেশে তিন দশক ধরে নারীরা রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করছে, সে দেশেই নারীরা বিদ্বেষের শিকার৷ আমি মনে করি, নারীর নিরাপত্তাদানে রাষ্ট্র ব্যর্থ৷ তাই পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত৷''
আমাদের ফেসবুক বন্ধু মো. আবুল হাসান অবশ্য একদম উল্টো কথা বলছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার অভিজ্ঞতা বলে ভিন্ন কথা৷ এখানে পুরুষরাই সবচেয়ে নির্যাতিত৷ আমাদের বেঁচে থাকার সব পথ একে একে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে৷ আর কী বলব?'' আবুল হাসানের যে নারীদের ওপর প্রচণ্ড রাগ – সেটা বুঝতে পারলেও তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি পরিষ্কার নয়,৷
‘‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা ভয়ংকরভাবে নারী বিদ্বেষী'' – অনন্য আজাদের এই বক্তব্য কোনোভাবেই মানতে রাজি নন আমাদের পাঠক মেহেদী খান৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটি একটি ভয়ংকর মিথ্যা বৈ আর কিছু নয়৷ তিনি যদি লিখতেন এ দেশের নারীদের এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে এবং তারা ক্রমশই বৃত্ত ভেঙে বেড়িয়ে আসছেন – সেটা হতো সঠিক৷ তাছাড়া তিনি যে সব কারণ দেখিয়েছেন, তাও একপেশে৷ দেশের বাইরে থেকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাটা যে মুক্ত মনের লক্ষণ নয়, এই সাধারণ জ্ঞানটুকু তাদের কবে হবে?''
ডয়চে ভেলের পাঠক আশরাফ হোসেন রাকিব নারী স্বাধীনতা সম্পর্কে নিজের মতামত না জানিয়ে ইসলামে এ নিয়ে কী বলা হয়েছে, সেটাই তুলে ধরেছেন আমাদের ফেসবুক পাতায়৷ রাকিব লিখেছেন, ‘‘আমি আমাদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে জানি না, তবে আমি জানি ইসলাম ধর্মে নারীকে খুবই সম্মান দেওয়া হয়েছে৷ নারীকে কাজ করা ও রোজগার করার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং বাবা, স্বামী এবং পুত্রের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷''
তবে ডয়চে ভেলের পাতায় অনন্য আজাদের লেখাটিকে অসাধারণ পোস্ট বলে মন্তব্য করেছেন একজন পাঠক৷ বলা বাহুল্য তিনি একজন নারী, যাঁর নাম শান্তা রহমান৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ