1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাকফুটে অমিত শাহ

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রথমে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এ বার মুখ খুললেন অমিত শাহ৷ এনআরসি, সিএএ এবং সর্বশেষ বিতর্কের বিষয় এনপিআর নিয়ে৷ তারপরেও বিতর্ক থামছে কি?

https://p.dw.com/p/3VJRs
Indien Innenminister Amit Shah bei Ankunft im Parlament in Neu-Delhi
ছবি: Reuters

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, এনআরসি সরকারের বিবেচনাতেই নেই৷ তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে সংসদে অমিত শাহ যে ঘোষণা করেছিলেন, সরকার দেশজুড়ে এনআরসি করবে, তার কী হবে? বিভ্রান্তি কাটাতে এ বার মুখ খুলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, ''মোদীজি ঠিকই বলেছেন। এখনও পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বা সংসদে এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ তাই দেশজুড়ে এনআরসি নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন৷ কারণ, এই মুহূর্তে এনআরসি নিয়ে সরকার কোনও আলোচনা করছে না৷'' অমিত শাহের এই কথাতেও বিতর্ক থামছে না৷ বিরোধীরা বলছেন, অমিত শাহর কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এখন সরকার এনআরসি নিয়ে আলোচনা করছে না ঠিকই, তাই বলে ভবিষ্যতে যে করবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? বিশেষ করে কিছুদিন আগে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে যেখানে বলেছেন, দেশজুড়ে এনআরসি হবেই৷

লেখক, বিশ্লেষক এবং অবসরপ্রাপ্ত আমলা অমিতাভ রায় ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআরএকে অন্যের সঙ্গে যুক্ত৷ এগুলিকে আলাদাভাবে দেখা ঠিক হবে না৷ সরকার আগামী দিনে দেশজুড়ে এনআরসি করতেই পারে৷ আর সরকার যে একের পর এক এই ধরনের বিষয়গুলি সামনে নিয়ে আসছে, তার পিছনে আরেকটা উদ্দেশ্য আছে৷ তা হল, জিনিসের দামের দিকে লোকের নজর যাবে না৷ অন্য সমস্যার দিকে দৃষ্টি পড়বে না৷''

অমিত শাহ অবশ্য দাবি করছেন, এনআরসি ও এনপিআর দুটো একদম আলাদা। দুটোর কাজ উপযোগিতা সবই ভিন্ন৷ এনপিআর করা হচ্ছে যাতে সরকার ঠিক লোকের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিত পারে৷ কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ মনীষ তিওয়ারির মতে, এনআরসির ভিতর এনপিআর ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এনপিআর আদতে হয়ে যাচ্ছে এনআরসির প্রথম ধাপ৷ প্রথমিক সব তথ্য সেখান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে৷

তা হলে মোদী-শাহ কি দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ আপাতত থামাতে এই অবস্থান নিলেন? পরে কি তাঁরা পছন্দসই সময়ে আবার এনআরসি করার জন্য উদ্যোগী হবেন? নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত রায় চৌধুরী মনে করছেন, বিক্ষোভের জন্যই বিজেপি সরকার এনআরসি নিয়ে পিছু হঠেছে৷  তিনিও মনে করেন এনপিআর তৈরি হয়ে গেলে এনআরসি করাটা কোনও মুসকিলের কাজ হবে না৷

অমিত শাহ দাবি করছেন, ''লোকে এখন সিএএ নিয়ে আসল কথাটা বুঝতে পেরেছে৷ সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নেওয়ার জন্য নয়৷ এমআরসি ও এনপিআর নিয়েও ভুল বুঝতে পারবে৷'' কিন্তু বিরোধীরা তা কিছুতেই মানতে চাইছেন না৷ তাঁরা বলছেন, আপাতত এক পা পিছলেও ভবিষ্যতে বিজেপি আবার তাদের আগের পরিকল্পনা কার্যকর করতে উদ্যোগী হবে৷ শেষ পর্যন্ত এনআরসির দিকে এগোতেই পারে মোদী সরকার৷

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি গৌতম হোড়৷
গৌতম হোড় ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷