রোহিঙ্গা শরণার্থী
১০ আগস্ট ২০১২কয়েকটি এনজিও'র কাজ বন্ধ রাখতে বাংলাদেশ সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইইউ৷ কমিশনার ক্রিস্টালিনা জারগিভা বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করা৷ যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তাঁদের সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অনুমতি দেয়া উচিত বাংলাদেশের৷ তিনি বলেন, মিয়ানমারে আট লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করছেন৷ কিন্তু তাদের জাতিগত স্বীকৃতি দিচ্ছেনা সেখানকার সরকার৷ মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিক জাতিগত দাঙ্গায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়েছেন৷ বাংলাদেশে দু'লাখ অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন৷ তিনি বিবৃতিতে বলেন, ২০১২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য ১২.৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে৷
যে তিনএনজিও' ইতিমধ্যেই কক্সবাজার এলাকায় কাজ বন্ধ করতে হয়েছে,সেগুলো হল ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে, অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার বা এসিএফ এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ৷ অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, এই এনজিওগুলো দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে৷ তাই হঠাৎ করে তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ঠিক করেনি৷ তিনি মনে করেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তদন্তে করে তার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যতে পারে৷ প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করে নয়৷
‘এই এনজিওগুলোর কাজ বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে উদ্বুদ্ধ করেছে' - সরকারি প্রশাসনের এমন বক্তব্যকে অযৌক্তিক বলে মনে করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, কেউ বাধ্য না হলে নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে অন্য দেশে যায়না৷ বাংলাদেশের মানুষও অতীতে একই ধরনের অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন৷
এদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে'র কক্সবাজারে স্থানীয় সমন্বয়কারী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডয়চে ভলে জানান, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার কাজ তারা সরকারের নির্দেশে পুরোপুরি গুটিয়ে ফেলেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ