এবার প্রতিবাদে পথে নাট্যকর্মীরা
১৭ জানুয়ারি ২০২০কলকাতা, তথা সারা পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকর্মীরা, যাঁরা পেরেছেন, সবাই সমবেত হয়েছিলেন৷ পা মিলিয়ে হেঁটেছেন মিছিলে৷ যে প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্বরা অসুস্থ, অথবা অশক্ত, তাঁরাও সরাসরি পৌঁছে গেছেন সমাবেশে৷ এনআরসি-র নামে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের চেষ্টা, সিএএ জারি করে শরণার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন, এবং সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পুলিশের সন্ত্রাস, অথবা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনের গুন্ডামির একাধিক ঘটনায় ওঁরা বিচলিত৷ বাংলার পুরোধা নাট্যকর্মীরা, অশোক মুখার্জি, বিভাস চক্রবর্তী, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, দেবাশিস মজুমদার, ঊষা গাঙ্গুলি, সবাই সামিল হলেন প্রতিবাদ জানাতে৷ ঊষা গাঙ্গুলি ডয়চে ভেলে-কে জানালেন, এই অস্থির সময়ে কোনও মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারেন না৷ তাঁকে রাস্তায় নামতেই হবে৷ মিছিল করে যেমন, তেমনই নিজেদের নাটকের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে নাট্যকর্মীদের৷ এটা সময়ের ডাক৷ এই ডাক অগ্রাহ্য করা যায় না৷
এদিনের মিছিল শেষে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সামনে নাট্যকর্মীদের যে সমাবেশ, সেখানে একটি জরুরি সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে জানালেন নাট্যকর্মী শহিদুল ইসলাম৷ যে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে স্থানীয় মহিলাদের যে বিক্ষোভ সমাবেশ জারি আছে, কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যার শরিক হয়েছেন, নাট্যকর্মীরা এবার সেই অবস্থানের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন৷ সংহতি জানাতে, শরিক হতে৷ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নাট্যকর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হবে, যে উদ্দেশে এদিন একটি যৌথ মঞ্চ তৈরি হয়েছে৷
একটা সময় বাংলাসহ সারা ভারতেই নাগরিক প্রতিবাদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল পথ নাটক৷ বিশেষত বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষেত্রে পথ নাটক এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল৷ ঊষা গাঙ্গুলি এবং শহিদুল ইসলাম, দুজনেই জানালেন, এখনও পথ নাটকের সেরকম নির্দিষ্ট কোনও কর্মসূচি না নেওয়া হলেও, বাংলা নাটকের আবারও পথে নামার সময় এসেছে৷