এমএইচ৩৭০ খোঁজার সমস্যা ও কিছু প্রাপ্তি
৭ মার্চ ২০১৫মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ আর্থিক ব্যয়ে চারটি জাহাজ ভারত মহাসাগরের প্রায় ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় খোঁজ চালাচ্ছে৷ এর আগে এত বড় অঞ্চল জুড়ে তল্লাশি চালানোর কোনো ইতিহাস নেই৷ বিশাল এই কর্মযজ্ঞের প্রধান মার্টিন ডোলান বলেন, এর আগে এয়ার ফ্রান্সের একটি হারিয়ে যাওয়া বিমান খোঁজ করা হয়েছিল৷ বিমানটি ২০০৯ সালে রিও ডি জানেইরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে হারিয়ে গিয়েছিল৷ এরপর প্রায় দুই বছর ধরে তল্লাশি চালানোর পর বিমানটি পাওয়া গিয়েছিল৷ তবে সেসময় সাগরের যতটুকু অংশে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছিল সেটা বর্তমান কাজের মাত্র এক চতুর্থাংশ বলে জানান ডোলান৷
এছাড়া সাগরের যে অংশে খোঁজার কাজ চলছে সেটা ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে৷ উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর সেখানে পৌঁছাতে ছয়দিন পর্যন্ত সময় লেগে যায়৷ এছাড়া তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধারকর্মীদের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়তে হচ্ছে৷
এমএইচ৩৭০ বিমানটি সাগরের প্রায় চার হাজার মিটার গভীরে ডুবে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ডোলান বলেন, সূর্যের আলো সাধারণত সাগরের তিন থেকে চারশো মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে৷ ‘‘কিন্তু আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হচ্ছে চার হাজার মিটার পর্যন্ত৷ অর্থাৎ একেবারে অন্ধকারে,'' বলেন তিনি৷
আরেকটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে সাগরের গভীরের অংশের মানচিত্র নিয়ে৷ বিমান খুঁজতে যে অংশ পর্যন্ত যেতে হচ্ছে সেখানকার কোনো মানচিত্র না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের৷ সমুদ্র বিশেষজ্ঞ এরিক ফান সেবিলে বলেন, ‘‘সাগরের তলদেশের চেয়ে চাঁদ সম্পর্কে আমরা বেশি জানি৷ চাঁদের যে মানচিত্র আমাদের কাছে আছে সেটা সাগরতলের মানচিত্রের চেয়ে ২৫ গুন ভাল৷'' তাই বিমান খোঁজার বিষয়টিকে তিনি পুরো অন্ধকারে থাকা লন্ডন শহরে হারিয়ে যাওয়া বাসার চাবি খোঁজার সঙ্গে তুলনা করেছেন৷
তবে বিমান খুঁজতে গিয়ে সাগরের এমন সব অঞ্চলের ছবি ও ভিডিও তোলা হচ্ছে যেগুলো পরবর্তীতে অন্যান্য গবেষণায় কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করছেন তল্লাশি কার্যক্রমের প্রধান ডোলান৷
প্রায় ৯৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে চলা এই তল্লাশি কার্যক্রম চলবে মে মাস পর্যন্ত৷
জেডএইচ/এসবি (এএফপি)