আজও নিখোঁজ এমএইচ৩৭০
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪বিমানটির খুঁটিনাটি মুখস্থ হয়ে গেছে: ৮ই মার্চ, ২০১৪৷ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে উধাও হয়ে যায়৷ বিমানে ছিলেন ২২৭ জন যাত্রী ও বারোজন ক্রু৷ তাঁরা সব মিলিয়ে ১৪টি দেশের নাগরিক৷ অভিজ্ঞ পাইলট জাহারি আহমদ শাহ-র নেতৃত্বাধীন ক্রু-র সব সদস্যই ছিলেন মালয়েশীয়৷ নয়ত যাত্রীদের দুই-তৃতীয়াংশ ছিলেন চীনা নাগরিক৷
বিমানটির যাওয়ার কথা ছিল কেএল থেকে উত্তর-পূর্বে কাম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের দিকে৷ কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা যায় যে, বিমান নিশ্চয় তার দিক পরিবর্তন করেছে৷ তারপর খোঁজ চলে দক্ষিণ চীন সাগর, মালাক্কা প্রণালী এবং শেষমেষ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে৷ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে এমএইচ৩৭০ উড়ালের খোঁজে সহযোগিতা করে৷
অস্ট্রেলিয়ান ‘সার্চ কোঅর্ডিনেটর'-রা এখন বলছেন যে, স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞরা শেষমেষ ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার একটি সার্চ জোনের উপর নজর ফেলেছেন৷ দৃশ্যত স্যাটেলাইট ডাটা থেকে দেখা গেছে যে, বিমানটি আগে যা ভাবা গেছিল, তার অনেক আগেই দক্ষিণ দিকে মোড় নিয়ে থাকতে পারে৷ এবার একটি ওলন্দাজ আন্ডারওয়াটার সার্ভে কোম্পানি এবং চীনা নৌবাহিনীর একটি জাহাজকে ‘সোনার' ও ভিডিও ইকুইপমেন্ট দিয়ে গোটা সার্চ জোনটিকে চষে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই ‘জরিপে' এক বছর অবধি সময় লেগে যেতে পারে, বলে প্রকাশ৷
মোট কথা, বিমানটির ব্ল্যাক বক্স খুঁজে না পাওয়া অবধি এমএইচ৩৭০-এর ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা বলা প্রায় অসম্ভব৷ বিমানটিকে অপহরণ করা হয়েছে; বিমানটি অন্তর্ঘাত কিংবা সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, সেটা এক তত্ত্ব; পাইলট ও কো-পাইলট একত্রে কিংবা এককভাবে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, সেটা আরেক থিওরি৷ কিন্তু এই সব গুজব নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো প্রবৃত্তি কিংবা শক্তি যাঁদের নেই, সেই হতভাগ্য মানুষগুলির কথাও স্মরণ করা দরকার: এঁরা হলেন নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনেরা৷ শুধু তাঁদের শোকের সমাপ্তি, ও তাঁদের মানসিক শান্তির জন্যই এমএইচ৩৭০-এর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হদিশ পাওয়া প্রয়োজন৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)