1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের জয়, গণতন্ত্রের পরাজয়

২৬ জুন ২০১৮

নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তুরস্কের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ তবে দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন তিনি৷ 

https://p.dw.com/p/30IRX
Wahlen Türkei - Erdogan erklärt sich zum Sieger
ছবি: picture-alliance/AA/K. Ozer

 তুরস্কে নতুন যুগ শুরু হয়েছে৷ পুনরায় প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন৷ সংশোধিত নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সরাসরি নিজেই মন্ত্রী নিয়োগ, সমন জারি এবং বিচারক নিয়োগ করতে পারবেন৷

গত নির্বাচনেও এর্দোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)-র ভোট ছিল সাড়ে ৪৯ শতাংশ৷ এবারের নির্বাচনে দলীয় ভোট কমে সাড়ে ৪২ শতাংশ হয়ে গেলেও, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি নিজে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন৷

হ্যাঁ এর্দোয়ান বড় ব্যবধানেই জিতেছেন৷ তবে এই জয় তুরস্ককে করেছে দ্বিখণ্ডিত৷ এর্দোয়ানের সমর্থকদের উল্লাসের বিপরীতে, সেখানে অর্ধেক ভোটার বিষণ্ণতায় নিস্তব্ধ, কেননা, তাঁরা জানে এর্দোয়ানের এই জয় গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দিয়েছে৷  

বিরোধীদল খুব শক্তভাবে লড়াই করলেও এর্দোয়ানকে হারানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না৷ ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতাসীন একেপি নির্বাচনে দ্রুত তাদের জয়ের ব্যাপারটি ঘোষণা করে এবং তাতেই স্থির রয়েছে৷

এই নির্বাচন যেন অতীতের পুনরাবৃত্তি৷ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ২০১৭ সালে সংবিধান পরিবর্তনে ভোটের ব্যাপারটি৷ সংবিধান পরিবর্তনে তখন ‘হ্যাঁ' ভোট সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল৷ জুনের ২৪ তারিখের নির্বাচন ছিল সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর মোক্ষম সময়৷

তুরস্কের গণতন্ত্রের প্রতি এটা ছিল শেষ পেরেক৷ যাঁরা বিরোধীপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, এখন নতুন ব্যবস্থায় তাঁদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে৷

সারা পৃথিবীর দৃষ্টি অনেকদিন ধরেই তুরস্কের দিকে রয়েছে৷ আর সামনে দেশটিকে পর্যবেক্ষণের তালিকায় রাখবে৷ যদিও তুরস্ক এখন আর মিত্র নয়, ফলে তাঁকে খুব সহজেই উপেক্ষা করা যায়৷

এর মধ্যে পশ্চিমের দেশগুলো বিশেষত ইউরোপের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক অতীতের যে-কোনো সময়ের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পরবে৷ কেননা, এর্দোয়ানের এখন বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে, যা তাঁর ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে৷ ২০১৬ সালে অভ্যুত্থান সফলভাবে মোকাবেলার পর থেকেই এর্দোয়ান ‘জরুরি অবস্থা' জারি করে রেখেছেন৷

আবারইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে নিজেদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করলে দেশটির বাকি যেসব ভোটার গণতন্ত্রের পক্ষে নিজেদের লড়াই জারি রেখেছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হবে৷

আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি সে পথে না হাঁটে, তুরস্কের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য তাহলে কোনো-না-কোনো উপায় খুঁজে বের করতে হবে৷ কেননা, দেশটি ক্রমাগত ইইউ যে মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত তা ভঙ্গ করে চলেছে৷

তুরস্কের শেষ নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের নিশ্চুপতা বলে দিচ্ছে, তাঁরা তুরস্ককে সাবধানতা ও সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন৷ পরাজয়ের পর প্রধান বিরোধী দল মুহাররেম ইনজের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (চিএইচপি)-র ভোটরারা হতাশায় আশ্চর্যজনকভাবে নিশ্চুপ রয়েছেন৷ নির্বাচনের পর ভোটের সময় এবং পরে কারচুপির খবর তাঁদেরকে আরও হতাশায় ফেলেছে৷

সেডা সের্ডার/এইচআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য