যৌন ইঙ্গিতের দায়ে বহিষ্কার
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪আমেরেহ আহমদ ইরানি ফুটবল টিমের সাজসরঞ্জাম দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন৷ তিনি নাকি ফুটবল স্টেডিয়ামে এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবীকে মৌখিকভাবে যৌন ইঙ্গিত করেন৷ ওসিএ এশিয়ান গেমস-এর যাবতীয় আয়োজনস্থলে আমেরেহ-র প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে: অ্যাথলিটস ভিলেজ, সব ক্রীড়াঙ্গন ও হোটেল পড়বে সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায়৷
এই ঘটনার কিছু পরেই অ্যাথলিটস ভিলেজে এক ফিলিস্তিনি ফুটবল প্লেয়ারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়৷ ওসিএ-র প্রেসিডেন্ট শেখ আহমদ আল-ফহাদ আল-সাবাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন যে, ওসিএ এই ধরনের ঘটনার প্রতি প্রতিক্রিয়া হিসেবে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তা যাবতীয় ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের কাছে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: ‘‘আমার মনে হয়, অন্যরা এখন বুঝতে পারবে কোনটা আইনবিরুদ্ধ এবং কোন কোন সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়৷'' যুগপৎ তিনি এ ধরনের যৌন অত্যাচারের ঘটনা ও তার ফলশ্রুতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন৷
অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া-র প্রেসিডেন্টের মনোভাব হলো: ‘‘এটা একটা নেতিবাচক ঘটনা হলেও, এর থেকে ইতিবাচক কিছু পাওয়া যায়৷ (এশিয়ান) গেমস-এর একটা কাজ হলো শিক্ষা দেওয়া, বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে আদানপ্রদান, অন্যান্য দেশের মানুষ ও সংস্কৃতিকে বুঝতে শেখা৷'' ওসিএ-র তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘‘অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (দক্ষিণ) কোরিয়ার ইঞ্চনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস-এ যাবতীয় যৌন অত্যাচারের ঘটনার প্রতি ‘জিরো টলারেন্স' (কোনো রকম সহনশীলতা না) দেখানোর নীতি ঘোষণা করেছে৷''
ইরানি কর্মকর্তা দৃশ্যত মহিলা স্বেচ্ছাসেবীটিকে স্পর্শ করার কথা স্বীকার করেছেন, তবে বলেছেন যে, তিনি তাঁর এই আচরণকে বেআইনি বলে মনে করেননি৷ ফুটবল স্টেডিয়ামের ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার৷ পরের বুধবারে অ্যাথলিটস ভিলেজে যে ঘটনাটি ঘটে, তার জন্য ফিলিস্তিনি ফুটবল খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে বটে, কিন্তু খোলোয়াড়টিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স)