এসএসসি মামলায় নতুন মোড়, সার্ভার রুম সিল
২৩ মে ২০২২স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএসসি-র কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে সোমবার ছিল রীতিমতো ঘটনাবহুল দিন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন রাজভবনে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ আলোচনা আলোচনা হয়। আলোচনার পর রাজ্যপালের তরফে জানানো হয়েছে, দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছ্বতা ও দায়বদ্ধতা বজায় রাখার কথা বলেছেন। মন্ত্রী ও সচিব সেই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এর আগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা-প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল কি না, সেবিষয়ে রাজ্যপাল বা মন্ত্রী ও সচিবের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
সার্ভার রুম লিক, নেট বন্ধ
কলকাতায় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র অফিসে একাধিক ঘর সিল করে দিয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সার্ভার রম। সেখানে নেট সংযোগও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সার্ভার রুম-সহ যে সব ঘর তালাবন্ধ করা হয়েছে, সেখানে প্রচুর কম্পিউটার আছে, যার তথ্য এই মামলার জন্য খুবই জরুরি বলে মনে করছে সিবিআই।
সোমা দাসের চাকরি
এসএসসি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা নাছোড় আন্দোলন করছেন, তার মধ্যে সোমা দাস অন্যতম। সোমা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও তিনি তিন বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান সোমা এখন দুইটি লড়াই চালাচ্ছেন, এসএসসি দুর্নীতি ও ক্যান্সার।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে অন্য চাকরি দেয়ার কথা বলেছিলেন। সোমা রাজি হননি। বলেছেন, শিক্ষকতা ছাড়া অন্য চাকরি করবেন না। সোমবারের খবর, এসএসসি তাকে শিক্ষকতার চাকরি দিতে চেয়েছে এবং সোমাও জানিয়েছেন, এই চাকরি তিনি নেবেন। তবে আন্দোলন থেকে সরবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষায় পাস হওয়া সব প্রার্থী চাকরি না পাচ্ছেন, ততদিন আন্দোলন চলবে।
অনুব্রতকে আবার ডাকলো সিবিআই
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আবার জেরার জন্য ডাকলো সিবিআই। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসারও তদন্ত করছে সিবিআই। বীরভূমে এই হিংসা নিয়েই মঙ্গলবার অনুব্রতকে জেরা করতে চায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার বেলা একটার সময় তাকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে সামান্য সময় জেরা করে সিবিআই. তখন তিনি অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি বলে সূত্র জানাচ্ছে।
অর্জুন সিং তৃণমূলে
তিন বছর দুই মাস আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এখন আবার তিনি তৃণমূলে ফিরলেন। রোববার অর্জুন আবার তৃণমূলে ফিরে আসার পর রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদের সংখ্যা আরো কম হলো। এর আগে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। তিনি আসানসোলের এমপি-র পদ থেকে ইস্তফাও দেন। সেই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
অর্জুন অবশ্য সাংসদ পদ ছাড়েননি। ভাটপাড়ার এই নেতা বলেছেন, রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। আয়ারাম গয়ারামদের ঐতিহ্য বজায় রেখেছেন অর্জুন। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নেতা দলবদল করেছেন। কয়েকজন আবার পুরনো দলে ফিরে গেছেন। অর্জুন তার শেষতম উদাহরণ। যে তিনবছর দুই মাস তিনি তৃণমূলে ছিলেন না, তখন তার বিরুদ্ধে ১২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)