লিবিয়ায় স্থিতিশীলতার উদ্যোগ
১৭ মে ২০১৬মুয়াম্মর গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর লিবিয়ায় যে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিল, তার সুযোগ নিয়ে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট সে দেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে৷ তাছাড়া ইউরোপগামী শরণার্থীরাও অবাধে লিবিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করে চলেছে৷ এই অচলাবস্থা দূর করতে ত্রিপোলি ও বেনগাজিতে দুই বিবদমান সমান্তরাল প্রশাসনের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল জাতিসংঘ৷ তারই আওতায় এক জাতীয় ঐক্য সরকার গড়া সম্ভব হয়েছে৷ ধাপে ধাপে ক্ষমতার রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে এই সরকার৷ ভিয়েনায় এক সম্মেলনে সেই সরকারের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক সমাজ৷
সবার আগে অস্ত্র বিক্রির উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার আবেদন জানিয়েছে লিবিয়ার নতুন সরকার৷ তাদের মতে, আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং দেশের সর্বত্র সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলি এই আবেদন নীতিগতভাবে মেনে নিতে প্রস্তুত৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, নতুন সরকারকে অনুগত নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তুলতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে৷ উপকূলরক্ষী বাহিনী গড়ে তোলার কাজেও অনেক দেশ সাহায্য করতে প্রস্তুত৷
পোপ ফ্রান্সিস অবশ্য ইরাক ও লিবিয়ার মতো দেশে পশ্চিমা গণতন্ত্রের মডেল চাপিয়ে দেবার অভিযোগ করেছে৷ এক রোমান ক্যাথলিক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসলামপন্থি সন্ত্রাসের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্রের মডেল নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত৷ ইরাক ও লিবিয়ার মতো দেশে অতীতে শক্তিশালী প্রশাসন এবং উপজাতিদের এক কাঠামো ছিল৷ সেই সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য না বুঝে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়, বলেন পোপ৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)