ওবামা কাঁদলেন, কাঁদালেনও
১১ জানুয়ারি ২০১৭‘চেঞ্জ', পরিবর্তন হলো ‘‘অ্যামেরিকার ধারণাটির স্পন্দনরত হৃৎপিণ্ড – স্বশাসনের ক্ষেত্রে আমাদের নির্ভীক এক্সপেরিমেন্ট'' – বললেন ওবামা৷ এই শিকাগোতেই ওবামার নিজের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়, স্মরণ করেন তিনি৷
‘‘আমি যখন প্রথম শিকাগোতে আসি, তখন আমার বয়স সবে বিশ ছাড়িয়েছে – আমি তখনও বোঝার চেষ্টা করছি, আমি কে; তখনও আমার জীবনের লক্ষ্য খুঁজছি'', শিকাগোতে বললেন বারাক ওবামা৷ ‘‘এখানেই আমি শিখি যে পরিবর্তন আসে শুধুমাত্র যখন সাধারণ মানুষ তাতে সংশ্লিষ্ট হন, উদ্বুদ্ধ হন, পরিবর্তনের দাবিতে একত্রিত হন৷''
গণতন্ত্রের প্রতি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস ও অপরাপর বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়ে ওবামা বলেন, ‘‘আমরা ভয়ের কাছে নতি স্বীকার করলে গণতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে৷ কাজেই একদিকে যেমন নাগরিক হিসেবে আমাদের বহির্বিশ্ব থেকে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, তেমনি যে মূল্যবোধ আমাদের সত্তা গড়ে দিয়েছে, তাকে দুর্বল করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷''
ওবামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে তার ভূমিকা ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংঘাত থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সাবধান করে দেন৷ অপরদিকে তিনি তাঁর সমর্থকদের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে ও একটি নতুন ‘সামাজিক সংহতি' গড়ে তুলতে বলেন৷
ওবামা তাঁর স্ত্রী মিশেল ও দুই কন্যা সাশা ও মালিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি, বিশেষ করে মিশেল ওবামার প্রতিটি উল্লেখে প্রায় ১৮,০০০ মানুষের জনতা হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়েছে, ওবামাকেও চোখের জল মুছতে দেখা গেছে৷
ওবামা শুধু একবার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের সংক্ষিপ্ত উল্লেখ করলে জনতা ধিক্কার ধ্বনি দেয়, ‘‘না, না, না, না, না'', তবে ওবামা সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘‘জাতির একটি বড় শক্তি হলো এক প্রেসিডেন্ট থেকে আরেক প্রেসিডেন্টের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর৷''
এসি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
ওবামার বিদায়ী ভাষণটি কি আপনি দেখেছেন? এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য লিখুন নীচের ঘরে৷