1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

২০ এপ্রিল ২০১৮

অ্যামেরিকা পরমাণু চুক্তি ত্যাগ করলে তার পরিণাম ভালো হবে না, জানিয়েছে ইরান৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১২ই মে চুক্তি থেকে সরে আসার যে হুমকি দিয়েছেন, তার ফলে ইউরোপেও তৎপরতা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2wN91
পরমাণু চুক্তি বর্জনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ
ছবি: Tasnim/M. Madadi

ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানির পরমাণু চুক্তিকে বড় সাফল্য হিসেবে গণ্য করে আন্তর্জাতিক সমাজ৷ এক মাধ্যমে সে দেশের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি আপাতত বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ তাছাড়া সে দেশে চরম রক্ষণশীল শক্তির প্রভাব খর্ব করে উদারপন্থিদের হাত শক্ত করাও এই চুক্তির পরোক্ষ উদ্দেশ্য৷ তবে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে চুক্তির অন্তর্গত করতে না পারায় কিছু মহলে সমালোচনা উঠেছে৷ তাছাড়া ইরান যেভাবে সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন-সহ গোটা অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে চলেছে, সেই উচ্চাভিলাষেও রাশ টানা সম্ভব হয়নি৷ বিশেষ করে ইসরায়েল ও সৌদি আরব ইরানের শক্তি খর্ব করতে বদ্ধপরিকর৷ একটি পরমাণু চুক্তির মধ্যে এত বিষয় অন্তর্গত করা যে বাস্তবসম্মত হতে পারে না, সেই কঠিন সত্য উপেক্ষা করে চলেছেন বিরোধীরা৷ তাই ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলা সত্ত্বেও সেই চুক্তি বাতিল করার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে সমালোচকরা৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে থেকেই সমালোচকদের দলে নাম লিখিয়েছিলেন৷ ক্ষমতায় এসে তিনি সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন৷ তাঁর প্রশাসনেও বর্তমানে ইরান-বিরোধীদের আধিপত্য চলছে৷ ইউরোপে সহযোগী দেশগুলি ট্রাম্পকে সেই কাজ থেকে বিরত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির ৫০০ সংসদ সদস্য একযোগে এই মর্মে মার্কিন কংগ্রেসকে একটি চিঠি লিখেছেন৷

আগামী ২৭শে এপ্রিল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও সেই চেষ্টা চালাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি আগামী ১২ই মে-র মধ্যে চুক্তির ‘মারাত্মক ত্রুটি' দূর করতে না পারলে তিনি ইরানকে নিষেধাজ্ঞা থেকে আর রেহাই দেবেন না৷ উল্লেখ্য, চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়মিত ‘ওয়েভার' স্বাক্ষর করতে হয়৷ গতবার ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করলেও এবার তিনি বেঁকে বসেছেন৷

এরই মধ্যে ইরান ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, অ্যামেরিকা পরমাণু চুক্তি বাতিল করলে তার পরিণাম ‘অস্বস্তিকর' হতে পারে৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ নিউ ইয়র্কে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ওয়াশিংটন চুক্তি থেকে সরে এলে ইরানের হাতে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে৷ স্বাক্ষরকারী সব দেশ চুক্তি মেনে চললে ইরানও শর্ত মেনে চলবে৷ অ্যামেরিকা চুক্তি ত্যাগ করলে ইরান চুক্তি ছিঁড়ে ফেলবে, বলেন জরিফ৷

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রক্ষা করতে ইউরোপেও তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে৷ ওয়াশিংটনকে খুশি করতে ইরানের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ তবে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি৷ ১২ই মে-র মধ্যে যৌথ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত কঠিন হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)