কংগ্রেসে কানহাইয়া, জিগনেশ?
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১মঙ্গলবার দুপুরে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা তরুণ বামপন্থি নেতা কানহাইয়া কুমার এবং গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানির। সব ঠিক থাকলে এদিন রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে তারা দলে যোগ দেবেন বলে কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কানহাইয়া কুমার দীর্ঘদিন ধরেই খবরের শিরোনামে। 'দেশবিরোধী' স্লোগান দিয়েছেন, এই অভিযোগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছিল। সেই তখন থেকেই ছাত্ররাজনীতির অন্যতম আইকনে পরিণত হয়েছেন কানহাইয়া। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (সিপিআই) ছাত্রশাখা এআইএসএফ-এর নেতা ছিলেন কানহাইয়া। পরে সিপিআই-য়ের টিকিটে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বেগুসরাই থেকে লড়াইও করেছেন তিনি। সেই কানহাইয়া কুমার কেন কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কানহাইয়ার সঙ্গে ডিডাব্লিউ যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু কানহাইয়া কথা বলতে চাননি। তবে কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন কানহাইয়া। এ বিষয়ে সিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ডিডাব্লিউ। নামপ্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে সিপিাইয়ের এক শীর্ষনেতা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, কানহাইয়াকে বলা হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে দলের জাতীয় দপ্তরে এসে সাংবাদিক বৈঠক করতে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ফোন তোলেননি কানহাইয়া। মেসেজেরও উত্তর দেননি। ফলে তিনি যে দলত্যাগ করছেন, তা তাদের কাছেও খানিকটা পরিষ্কার। কিন্তু কেন কানহাইয়া এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি ওই নেতা।
২০১৭ সালে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন জিগনেশ মেওয়ানি। ঘোর মোদী হাওয়ার মধ্যেও নির্দল বিধায়ক হিসেবে তিনি গুজরাত থেকে জয়লাভ করেছিলেন। দলিত নেতা হিসেবে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে নাম কুড়িয়েছেন জিগনেশ। তার এবং কানহাইয়ার ঘনিষ্ঠতাও সর্বজনবিদিত। এর আগে বহু আন্দোলনে তাদের দুইজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিষয়টিও তারা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
কংগ্রেস সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে, ভগত সিংয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এদিন তারা দুজনেই দিল্লির আইটিও-তে শহিদ স্মারকে মালা দিতে যাবেন। রাহুল গান্ধীও সেখানেই উপস্থিত হতে পারেন। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দলে যোগদান করানো হবে।
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে একাধিক নেতা অন্যদলে যোগ দিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের একাধিক নেতা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কানহাইয়া এবং জিগনেশকে দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)