করোনায় বাংলাদেশে প্রথম সাংবাদিকের মৃত্যু
২৯ এপ্রিল ২০২০অসুস্থ খোকনকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোয়া ১০টার তিনি মারা যান বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ হুমায়ুন কবির খোকনের স্ত্রী ও সন্তানদের হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে৷
রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহেদ বুধবার বলেন, ‘‘আমরা রাতেই নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম, ভোরে আমাদের জানানো হয়েছে, তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে৷
‘‘আমাদের ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷’’
হুমায়ুন কবির খোকনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদ নগরে৷ তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন৷
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বাংলাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে৷ এ সময়ে অনেকেই হোম অফিস করছেন৷ খোকনও গত ১৫ দিন ধরে বাসা থেকেই অফিসের কাজ করছিলেন বলে জানান সময়ের আলো'র সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব রহমান ৷
বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা দেখা দেয়৷ এরপর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ৯টার দিকে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়৷’’
হাসপাতালে ভর্তির সময়ই এই সাংবাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল৷ ডাক্তাররা চেষ্টা করলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়৷ হুমায়ুন কবির এর আগে দৈনিক মানবজমিন, আমাদের সময়সহ কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করেন৷ তাঁর অকাল মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ৷
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন৷ কয়েকজন এরই মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন৷ এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হুমায়ুন কবিরই প্রথম সাংবাদিক যিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন৷
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)